বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ ভোটগ্রহণ শুরু, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মদিন সিএমপি ইপিজেড থানার অভিযানে সিআর সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী মঞ্জুর আলম,গ্রেফতার পল্লবীতে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলাকারীরা আজও পলাতক কালাইয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মিলনের বিজয়- টাঙ্গাইলের মধুপুরে ভোট দেয়া হলো না মাসুদের নওগাঁ জেলা প্রথম ধাপে আগামীকাল ৮ এই মে তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে নওগাঁ অভিযান চালিয়ে ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আজিজার রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার নওগাঁর নিয়ামতপুর গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু কিংবদন্তী কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর প্রয়াণ দিবস গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মাংস ব্যবসায়ীদের ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  নওগাঁর মান্দায় বেসরকারি সিসিডিবির গ্রাজুয়েট ফোরামের দায়িত্ব হস্তান্তর নওগাঁর মান্দায় দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি সপ্তম শ্রেণী স্কুল ছাত্রী নওগাঁ গভীর নলকূপের সেচভাড়ার টাকা চাওয়ায় ড্রেনম্যানকে পিটিয়ে জখম দুপচাঁচিয়ায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ রঞ্জন পাল দেওয়ানগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা সুরস্রস্টা রামতনু পান্ডে- তানসেন এর প্রয়াণ দিবস কালাই উপজেলা নির্বাচন: ত্রিমুখী লড়ায়ে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান? নওগাঁর চৌমাশিয়া বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাধন নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু কালাই উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান

বাঙালি ও সনাতন ধর্মগুরু ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী :

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪ বার পঠিত

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

উজ্জ্বল কুমার সরকারঃ

সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী যিনি ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নামেও পরিচিত (১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ – ২৬ জানুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাঙালি ধর্মগুরু। অনুকূলচন্দ্র “সৎসঙ্গ” নামক সংগঠনের প্রবর্তক। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে মৃত্যুবরণ করেন। ইনি ইষ্টভৃতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন করেন।
দাম্পত্য সঙ্গী : শ্রী শ্রী বড়মা (ষোড়শীবালা দেবী)।
সন্তানগণ : অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (পুত্র), বিবেকরঞ্জন চক্রবর্তী (পুত্র), সাধনা দেবী (কন্যা), সান্ত্বনা দেবী (কন্যা), Prachetaranjan Chakravarty (পুত্র), অনুকা দেবী (কন্যা)।
অনুকুলচন্দ্র ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হলেন শিবচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা হলেন মনমোহিনী দেবী। ১৮৯৩ সালে তিনি হিমায়তপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন। ১৮৯৮ সালে তিনি পাবনা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তিনি অমিতাবাদের রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য পড়েন এবং তারপরে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনার নৈহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরে তিনি কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান হোমিওপ্যাথিতে ডিগ্রি অর্জন করে। অনুকূলচন্দ্র দেওঘরে তপোবন বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, পাবলিশিং হাউজ, ছাপাখানা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সৎসঙ্গ স্থাপনঃ
সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটির নামের তাৎপর্য ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সৎ ও সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যাঁরা তাঁরাই সৎসঙ্গী, আর তাদের মিলনক্ষেত্র হল সৎসঙ্গ। শুরু হল মানুষ তৈরির আবাদ। কর্মের মাধ্যমে যোগ্যতর মানুষ গড়ে তোলাই হল এর লক্ষ্য। সৎসঙ্গ “ইষ্টভৃতি”-এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে; এক বিরল প্রথা।
সৎসঙ্গ আশ্রমঃ
ধর্ম কর্মের অপূর্ব সমন্বয়ে সৎসঙ্গ আশ্রম। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প সুবিবাহ আস্তিকের এই চার স্তম্ভের অভিব্যক্তি। এই আশ্রমে বিভিন্নমুখী কর্ম প্রতিষ্ঠানের বিদ্যায়তন গড়ে উঠল, প্রাচীন ঋষিদের তপোবনের নবতর সংস্করণ যেন। ব্রহ্মচর্য্য, গার্হস্থ্য়, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস সনাতন আর্য জীবনের এই চারটি স্তরই সৎসঙ্গ আশ্রমভূমিতে এক সামঞ্জস্যপূর্ণ যুগোপযোগী রূপ লাভ করে।
শেষ জীবনঃ
ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আধ্যাত্মিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ এসে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, গুলজারীলাল নন্দা এই সৎসঙ্গের কর্মকাণ্ড দর্শন করে ভূয়শী প্রশংসা করেন।
রচিত বইঃ
অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর প্রায় ৪৬টি পুস্তক রচনা করেন। এগুলোতে ধর্মশিক্ষা, সমাজ সংস্কার প্রচলন প্রভৃতি বিষয়ে আদর্শ ও উপদেশসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:-সত্যানুসরণ, পুণ্যপুথি, অনুশ্রুতি (৬ খন্ড), চলার সাথী,শাশ্বতী (৩ খন্ড), বিবাহ বিধায়না, সমাজ সন্দীপন এবং যতি অভিধর্ম।
তিনি ১৯৬৯ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখে ৮০ বছর বয়সে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত আশ্রম ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘরে দেহ ত্যাগ করেন।
ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা, প্রণাম ও ভালোবাসা। জয়গুরু।।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150