দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ১৯০ জনের।
এছাড়া, নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ জনে।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৫টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ১৩৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৮টি।
এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার দুই দশমিক ৫১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আটজনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, নারী দু’জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন ও খুলনা বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সবাই হাসপাতালেই মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দু’জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৪৩৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩৫৪ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।