শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন -সভাপতি রুহুল -সম্পাদক জুয়েল জিয়ারতে কা’বা হজ্ব ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সৌজন্যে পবিত্র হজ্ব প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাইবান্ধায় চুড়িপট্টিতে আগুন লেগে ১০ দোকান পুড়ে ছাই প্রায় ৪ কুটি টাকার ক্ষতিসাধন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত কালাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ দিনব্যাপী সেরা কণ্ঠ জয়পুরহাট-২০২৪ ওমর স্কুলের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জারীগানে জয়পুরহাট জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব নওগাঁর বদলগাছি চঞ্চল কর মাদ্রাসার ছাত্র সাকিব হত্যার মামলার প্রধান আসামি আকবর গ্রেফতার বাকেরগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার নির্বাচনী অফিস, তৃণমূলে ক্ষোভ দুপচাঁচিয়ায় বার্মিজ চাকু সহ একজন গ্রেফতার নিত্যপণ্যের লাগামহীন বাজারের দিশেহারা ক্রেতারা রুহানি ফায়েজ হাসিলের লক্ষ্যে শাহ কবির মাজারে ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হবে উপমহাদেশের নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস আজ নওগাঁ মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে ছেলে ও পুত্র বধুর বিরুদ্ধে পিতার মামলা নওগাঁর মান্দায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর ইউপির ২০২৪ – ২০২৫ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা মধুপুরে সড়ক দখল করে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর মহোৎসব কাজী মোখলেসুর রহমান এর স্মরণে আলোচনা সভা

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৯৫ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি
পিডি সমস্যা উত্তরণে পথ বের হয়নি । একদিকে কর্মকর্তা কম অন্যদিকে প্রকৌশলীদের ক্ষোভ।

এক কর্মকর্তাকে একাধিক প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক বা পিডি হিসেবে নিয়োগ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়গুলোকে একটা টাইমফ্রেমও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। গতকাল সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারি সে সময়সীমা শেষ হলেও নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে কোনো পথও বের করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা।

মন্ত্রণালয়গুলো বলছে, প্রকল্পের তুলনায় কর্মকর্তার সংখ্যা কম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রেষণে পিডি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে ভাবা হলেও এতে ভীষণ আপত্তি রয়েছে প্রকৌশলীদের। তারা উল্টো বলছেন, একই কর্মকর্তা একাধিক প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করায় প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা ও বিলম্ব হচ্ছে- এ ভাষ্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তৈরি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে ‘এক কর্মকর্তাকে একাধিক প্রকল্পে পিডি নিয়োগ পরিহার’বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রশাসন থেকে পিডি নিয়োগের প্রস্তাব করা হলে এর প্রতিবাদ শুরু করেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা। তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে কণ্ঠ তোলেন গণপূর্ত, এলজিইডিসহ অন্যান্য সংস্থার প্রকৌশলীরাও, তারাও শুরু করেন প্রতিবাদ। পিডি নিয়োগ নিয়ে যে অবস্থা চলছে, তার প্রেক্ষাপটে প্রকৌশলীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্যও তুলে ধরার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী।

সড়ক বিভাগের এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সভায় বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ২১টি ৫০ কোটি টাকা কম অর্থমূল্যের। এ হিসেবে ১৮০টি প্রকল্পে নিয়মিত পিডি প্রয়োজন। সভায় বলা হয়, সওজে পিডি হওয়ার যোগ্য অনুমোদিত কর্মকর্তার পদের সংখ্যা ১৫৪। কিন্তু নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন ৭৯ জন। ঊর্ধ্বতন পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন ৭৫ জন। প্রকল্পে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন ৯১ জন। সব মিলিয়ে ২৩৫ জনের মধ্যে ৫১ জন প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। তাদের পিডি পদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। আবার অনেক কর্মকর্তা ডিটিসিএ, রাজউক এবং সেনাবাহিনীর প্রকল্পে প্রেষণে রয়েছেন। ফলে প্রকল্পের তুলনায় কর্মকর্তার সংখ্যা আরও কমেছে।

ওই সভায় বলা হয়, একই সড়ক, মহাসড়ক একাধিক জোন ও সার্কেলে বিস্তৃত। একাধিক সার্কেলে সড়কের বিস্তৃত হলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকেই পিডির দায়িত্ব দিতে হয়। একাধিক বিভাগের বিস্তৃত হলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে পিডি করতে হয়। ফলে এক কর্মকর্তাকে একাধিক প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পালন করতে হয়। জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীরা দায়িত্ব পালন করেন। তাদের বিল ইস্যুর ক্ষমতা রয়েছে। কোনো জেলায় একাধিক প্রকল্প চলমান থাকলে, তাই একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী সেখানে নিয়োগ সম্ভব হয় না। আবার মেগা বাদে অন্য প্রকল্পে নিজস্ব জনবল কাঠামো থাকে না। ফলে সওজের নিয়মিত জনবলকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে সুপারিশ করা হয়েছে, ছোট ছোট প্রকল্পকে একীভূত করে প্রকল্প সংখ্যা ১০০তে সীমাবদ্ধ রাখা হোক। ৫০ কোটি টাকার অধিক প্রকল্পে নিয়মিত পিডি নিয়োগের বিধান শিথিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৩০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে প্রকল্পে স্বতন্ত্র পিডি নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি দুটি প্রস্তাব হলো অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের পিডি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ‘প্রকৌশলগত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন’ কর্মকর্তাদের প্রেষণে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ। অতিরিক্ত ও উপ-প্রকল্প পরিচালক পদে প্রকৌশলীদের নিয়োগ করা হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এসব মতামত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর কথা।

এর আগে জনপ্রশাসন থেকে প্রেষণে পিডি নিয়োগ করা হতে পারে, এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট জরুরি বর্ধিত সভা ডেকে এর প্রতিবাদ জানায়। প্রকৌশলী সমিতির একাধিক নেতা বলেছেন, তারা পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের চেয়ে পিছিয়ে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রেষণে পিডি নিয়োগ করা হলে প্রকৌশলীদের বঞ্চনা আরও বাড়বে।

সওজের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেছেন, ‘প্রকৌশলগত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন’ প্রশাসনের কর্মকর্তা বলতে মন্ত্রণালয় কী বোঝাচ্ছে, তা তারা বুঝতে পারছেন না। যারা প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় থেকে পাস করে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন, তারা আসলে প্রকৌশলগত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন নন। কারণ তাদের তাত্ত্বিক শিক্ষা থাকলেও মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়নি। অনেকেই মেডিক্যাল থেকে পাস করে প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারে যোগ দিয়েছেন। চিকিৎসক স্বল্পতা কাটাতে তাদের কী হাসাপাতালে প্রেষণে নিয়োগ করা হবে?

সংশ্লিষ্টরা জানান, এক কর্মকর্তাকে একাধিক প্রকল্পে পিডি নিয়োগ করা যাবে না- এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উদ্যোগী হয়ে গত মাসের শেষ সপ্তাহে চিঠি দেয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে। সেই চিঠির সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) একজন কর্মকর্তা ১৪ প্রকল্পের পিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুজন কর্মকর্তা ১৩টি করে প্রকল্পে এবং পাঁচজন কর্মকর্তা ১০ বা ততোধিক প্রকল্পে পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে (এলজিইডি) ১৪ জন কর্মকর্তা তিন থেকে ছয়টি প্রকল্পের পিডি। ৩৮ জন কর্মকর্তা দুই বা ততোধিক প্রকল্পের পিডি। একই অবস্থা বিদ্যুৎ, রেল, গণপূর্ত ও পানি মন্ত্রণালয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150