ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা সিটি মেয়র ও বাগেরহাট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা ক্ষেতলালে এ্যাকশান ইন বাংলাদেশ এর উদ্দ্যোগে বিনামূল্যে বকনা বিতরণ ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার গফরগাঁওয়ে শিশুর মুখে বেলুন আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ১০ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ফকিরহাটে ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, টাকা লুটের অভিযোগ খুলনার হোটেলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নৌবাহিনীর ভর্তি বাণিজ্যের বড় চক্র গ্রেফতার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক বাগেরহাটের মংলায় ভিটিআরটি ও বাঘ বন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

এক লাফে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো বিশ টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আলুর দাম আরও কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলু যে দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা থেকে পাঁচ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।

তবে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এই প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

উপজেলা বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী পেঁয়াজের কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বর্তমান বাজারে নেই। গত সপ্তাহে দেশী পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী হাট ও বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই পেঁয়াজের বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকার পেঁয়াজ আজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। সামনেতে কুরবানীর ঈদ, সে উপলক্ষে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

আলু ব্যবসায়ী খালেক বলেন, আলুর কেজি ৫ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে এটা ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চৌমুহনী বাজারে আলু বিক্রয় করতে আসা কৃষকরা জানান, আলু উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে আর বাজারে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তাতে আগামীতে আলু চাষিরা আলু চাষের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আলু বিক্রয় করতে আসা কৃষকরা বলেন, সরকার যদি দেশের চাহিদা মিটিয়ে আলু বিদেশে রপ্তানি করতো তাহলে কৃষকরা এ আলুর ন্যায্য দাম পেতো। সেই সঙ্গে আলু চাষিরা আলু চাষের উপর আরো মনোযোগ দিতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এক লাফে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো বিশ টাকা

আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আলুর দাম আরও কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলু যে দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা থেকে পাঁচ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।

তবে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এই প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

উপজেলা বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী পেঁয়াজের কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বর্তমান বাজারে নেই। গত সপ্তাহে দেশী পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী হাট ও বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই পেঁয়াজের বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকার পেঁয়াজ আজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। সামনেতে কুরবানীর ঈদ, সে উপলক্ষে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

আলু ব্যবসায়ী খালেক বলেন, আলুর কেজি ৫ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে এটা ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চৌমুহনী বাজারে আলু বিক্রয় করতে আসা কৃষকরা জানান, আলু উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে আর বাজারে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তাতে আগামীতে আলু চাষিরা আলু চাষের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আলু বিক্রয় করতে আসা কৃষকরা বলেন, সরকার যদি দেশের চাহিদা মিটিয়ে আলু বিদেশে রপ্তানি করতো তাহলে কৃষকরা এ আলুর ন্যায্য দাম পেতো। সেই সঙ্গে আলু চাষিরা আলু চাষের উপর আরো মনোযোগ দিতো।