এক লাফে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো বিশ টাকা

- আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আলুর দাম আরও কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলু যে দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা থেকে পাঁচ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।
তবে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এই প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
উপজেলা বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী পেঁয়াজের কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বর্তমান বাজারে নেই। গত সপ্তাহে দেশী পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী হাট ও বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই পেঁয়াজের বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকার পেঁয়াজ আজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। সামনেতে কুরবানীর ঈদ, সে উপলক্ষে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আলু ব্যবসায়ী খালেক বলেন, আলুর কেজি ৫ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে এটা ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চৌমুহনী বাজারে আলু বিক্রয় করতে আসা কৃষকরা জানান, আলু উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে আর বাজারে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তাতে আগামীতে আলু চাষিরা আলু চাষের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আলু বিক্রয় করতে আসা কৃষকরা বলেন, সরকার যদি দেশের চাহিদা মিটিয়ে আলু বিদেশে রপ্তানি করতো তাহলে কৃষকরা এ আলুর ন্যায্য দাম পেতো। সেই সঙ্গে আলু চাষিরা আলু চাষের উপর আরো মনোযোগ দিতো।