সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম (BNJF) নবীগঞ্জ উপজেলা শাখায় নতুন কমিটি অনুমোদন সেলিম সভাপতি সুমন সম্পাদক রাঙ্গাবালীতে নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার মধুপুরে মাস ব্যাপি ক্ষুদ্র শিল্প ও পণ্য মেলা আয়োজন করা হয়েছে। সরিষাবাড়ীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দিনাজপুর হিলিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা মধুপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২জন নিহত আহত ১ লালমনিরহাটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত। নওগাঁর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান মোঃ আব্দুল জলিল এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভায় আগমন ওবায়দুল কাদের!! দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন আছে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে নওগাঁয় দেড় কেজি গাঁজাসহ দু’জন মাদক কারবারি আটক মধুপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে-হেলালের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র উৎসবের নামে মাসব্যাপী গত বছরের ন্যায় খোলা মেলা অশ্লীল যাত্রাপালার প্রস্তুতি!!! সরিষাবাড়ীতে নবনির্মিত গ্রামীণ বাজার দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ডিবির মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক সহ গ্রেফতার ৪ তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দুপচাঁচিয়ায় গেমস ও এনিমেশন তৈরি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অপরাধ ও সচেতনার লক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদে বক্তব্য রাখেন কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল ২ বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধার

ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্তি আজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৫২ বার পঠিত

আজ ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তিতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তিতে বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পার্বত্য জেলাসমূহের জনগণ ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাসমূহ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তি চুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তাদের এ হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ডের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছেছ না, সেসব এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চার হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150