ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তালোড়ায় দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে নলকূপ টিউবওয়েল বিতরণ বগুড়ার কাহালুতে মারপিটে তিনজন গুরুতর আহত ৭ দফা সুপারিশ, অনলাইন পোর্টাল নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের নওগাঁর পত্নীতলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১৯ কেজি গাঁজাসহ ছয় জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কালাইয়ে পুনটে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে মহিলা জামায়াতের দাবি, ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করে জাতিসংঘের সদস্যপদ বাতিল করার ৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করলেন ট্রাম্প নওগাঁয় কোটা বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে ক্লাস-পরিক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা নওগাঁয় শিলামুনি ও বিগবাজার গার্মেন্টসকে প্রতারণার দায়ে ১ লক্ষ্য টাকা জরিমানা

গণপিটুনিতে নয় , চট্রগ্রামের সাতকানিয়ায় ডবল মার্ডার: পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের ২ ব্যবসায়ীকে কথিত গণপিটুনির নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি এবং এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারী যথাক্রমে মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন,মাওলানা আবু তাহের,জায়েদ হোসেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবাদ জানান। একই তারা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে ‘গণপিটুনি’ আখ্যায়িত করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তিকর প্রচারণারও নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল রাতের হত্যাটি একটি পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকান্ড। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান বহু আগ থেকেই ছনখোলা গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। ছনখোলার পাহাড়, গাছ ও ইটভাটা সমুহের নিয়ন্ত্রণে নিতে নজরুল বাহিনী একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বিগত সরকারের আমলে গ্রামের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অসংখ্য মামলা দিয়ে তাদের পাহাড়, ভুমি জবর দখল করেছিল। এলাকার মানুষ নজরুলের অত্যাচার নিপীড়নে অতিষ্ট হলেও তৎকালীন আওয়ামী সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতাত কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্নগোপন করলেও তার বাহিনী অজ্ঞাত কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। নজরুলের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীগণ এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। গতরাতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দূঃশাসনে নির্যাতিত, মজলুম ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে মাইকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গনপিটুনির নামে মুলত চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ ও হারুনের নেতৃত্বে দুজনকে কুপিয়ে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।

একইভাবে বিগত ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী কাঞ্চন বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলাতে হত্যা করা হয়।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চিহ্নিত খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। তারা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে আসল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণপিটুনিতে নয় , চট্রগ্রামের সাতকানিয়ায় ডবল মার্ডার: পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

আপডেট সময় : ১০:২৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের ২ ব্যবসায়ীকে কথিত গণপিটুনির নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি এবং এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারী যথাক্রমে মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন,মাওলানা আবু তাহের,জায়েদ হোসেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবাদ জানান। একই তারা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে ‘গণপিটুনি’ আখ্যায়িত করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তিকর প্রচারণারও নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল রাতের হত্যাটি একটি পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকান্ড। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান বহু আগ থেকেই ছনখোলা গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। ছনখোলার পাহাড়, গাছ ও ইটভাটা সমুহের নিয়ন্ত্রণে নিতে নজরুল বাহিনী একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বিগত সরকারের আমলে গ্রামের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অসংখ্য মামলা দিয়ে তাদের পাহাড়, ভুমি জবর দখল করেছিল। এলাকার মানুষ নজরুলের অত্যাচার নিপীড়নে অতিষ্ট হলেও তৎকালীন আওয়ামী সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতাত কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্নগোপন করলেও তার বাহিনী অজ্ঞাত কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। নজরুলের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীগণ এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। গতরাতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দূঃশাসনে নির্যাতিত, মজলুম ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে মাইকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গনপিটুনির নামে মুলত চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ ও হারুনের নেতৃত্বে দুজনকে কুপিয়ে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।

একইভাবে বিগত ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী কাঞ্চন বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলাতে হত্যা করা হয়।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চিহ্নিত খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। তারা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে আসল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।