ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পাঁচ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাকায় জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলা, বেশ কয়েকজন আহত নওগাঁ বগুড়া-ঢাকা আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ দুপচাঁচিয়ার কইলে ১৬ প্রহর ব্যাপী রাধা গোবিন্দের পদাবলী লীলা কীর্তন শুরু রংপুরের মিঠাপুকুরে বোরকা পরে পালানোর সময় ‘ধর্ষক’কে ধরে গণপিটুনি জাপানি নায়িকা পর্নোগ্রাফি ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দুপচাঁচিয়া উপজেলা কমিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঘুষের বাকি টাকা ফেরত দিল পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন চার আসামির কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৫৯ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আজ বুধবার এক ভুক্তভোগীর বাবা মোনায়েম হোসেনকে ডেকে ঘুষের ওই টাকা ফেরত দেন উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধরে এনে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান চারজন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে থানা-পুলিশের।

জানা যায়, গত বছরের ১ অক্টোবর উপজেলার জাটিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আরমানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহতের মা শামছুন নাহার ওরফে ঝরনা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার আর কোনো আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানার এসআই নজরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে আরিফ বিল্লাহ (৪৬), রিফাতুল ইসলাম (২৩), বাবুল মিয়া (২১) ও রোমান মিয়া (২০) নামের চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে আটক ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

অন্যথায় হত্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। আটক বাবুলের বাবা মোনায়েম হোসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামের সঙ্গে ৬০ হাজার টাকা রফা করে পরিশোধ করেন। এর পরদিন রাতে মুক্তি দেওয়া হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের।

ভুক্তভোগী বাবা মোনায়েম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ এসআই নজরুল মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাজারে আসতে বলেন। পরে বাজারে এসে দেখা করলে হাতে ৫৯ হাজার হাজার টাকা ধরিয়ে দেন। বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি যেন কারও কাছে স্বীকার না করি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সরাসরি কথা হবে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। হলে হতেও পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘুষের বাকি টাকা ফেরত দিল পুলিশ

আপডেট সময় : ১০:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন চার আসামির কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৫৯ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আজ বুধবার এক ভুক্তভোগীর বাবা মোনায়েম হোসেনকে ডেকে ঘুষের ওই টাকা ফেরত দেন উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধরে এনে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান চারজন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে থানা-পুলিশের।

জানা যায়, গত বছরের ১ অক্টোবর উপজেলার জাটিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আরমানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহতের মা শামছুন নাহার ওরফে ঝরনা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার আর কোনো আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানার এসআই নজরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে আরিফ বিল্লাহ (৪৬), রিফাতুল ইসলাম (২৩), বাবুল মিয়া (২১) ও রোমান মিয়া (২০) নামের চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে আটক ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

অন্যথায় হত্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। আটক বাবুলের বাবা মোনায়েম হোসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামের সঙ্গে ৬০ হাজার টাকা রফা করে পরিশোধ করেন। এর পরদিন রাতে মুক্তি দেওয়া হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের।

ভুক্তভোগী বাবা মোনায়েম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ এসআই নজরুল মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাজারে আসতে বলেন। পরে বাজারে এসে দেখা করলে হাতে ৫৯ হাজার হাজার টাকা ধরিয়ে দেন। বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি যেন কারও কাছে স্বীকার না করি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সরাসরি কথা হবে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। হলে হতেও পারে।’