ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলো মেহেরপুরে অস্ট্রেলিয়ায় অপমান ও হেনস্থায় মুখ খুললেন নেহা” আমি বিনা পরিশ্রমিকে গিয়েছি” টিকটক চ্যালেঞ্জের কারণে ৭ বছরের মেয়ে কোমায় মৃত্যু বরণ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নতুন শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা এক জরিপে বলা হয় ইসরাইল ও নেতানিয়াহুর ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে বেশিরভাগ কানাডিয়ান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করলেন ইশরাক হোসেনকে ধানমন্ডিতে র‌্যাব-ম্যাজিস্ট্রেট-ছাত্র পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬ রোহিঙ্গাদের জনপ্রতি বরাদ্দ ১২ ডলার বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার সব-ই ক্বদর : ঈমানদারদের জন্য আমীরে জামায়াতের প্রার্থনা

চলতি বছরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এ বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের সবাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। সোমবার(৩ মার্চ) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তবে নিহতদের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

নিপাহ ভাইরাসের প্রধান বাহক বাদুড়। বাদুড়ের লালা দিয়ে দূষিত, খেজুরের কাঁচা রসকেই প্রধানত এ রোগের জন্য দায়ী করা হয়। খেজুরের কাঁচা দূষিত রস পানের মাধ্যমে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। নেশা জাতীয় পানীয় ‘তাড়ি’ নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এরপর আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এই রোগ ছড়াতে পারে।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৫-৭ দিন পর থেকে রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। বেশির ভাগ নিপাহ রোগীরই জ্বরের ইতিহাস থাকে। অন্যান্য উপসর্গের মাঝে ঘুমঘুম ভাব, পেশীতে ব্যথা, বমি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, এলোমেলো লাগা, ঝিমুনি, বমি, প্রায় অচেতনতার পাশাপাশি মস্তিষ্কে প্রদাহ ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকে। যেসব রোগীর মস্তিষ্কে প্রদাহের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয় আর কাঁচা খেজুরের রস পানের ইতিহাস থাকে, তাদের অবশ্যই নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে।

আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালে দেশে একজন মায়ের বুকের দুধে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরে ওই মায়ের সন্তানের মৃত্যু হয়। বুকের দুধে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া সারা বিশ্বে একটি বিরল ঘটনাই বটে। সেই বছর মোট ৫ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এদের সবারই মৃত্যু হয়।

আশঙ্কার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চলতি বছরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

এ বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের সবাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। সোমবার(৩ মার্চ) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তবে নিহতদের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

নিপাহ ভাইরাসের প্রধান বাহক বাদুড়। বাদুড়ের লালা দিয়ে দূষিত, খেজুরের কাঁচা রসকেই প্রধানত এ রোগের জন্য দায়ী করা হয়। খেজুরের কাঁচা দূষিত রস পানের মাধ্যমে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। নেশা জাতীয় পানীয় ‘তাড়ি’ নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এরপর আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এই রোগ ছড়াতে পারে।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৫-৭ দিন পর থেকে রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। বেশির ভাগ নিপাহ রোগীরই জ্বরের ইতিহাস থাকে। অন্যান্য উপসর্গের মাঝে ঘুমঘুম ভাব, পেশীতে ব্যথা, বমি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, এলোমেলো লাগা, ঝিমুনি, বমি, প্রায় অচেতনতার পাশাপাশি মস্তিষ্কে প্রদাহ ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকে। যেসব রোগীর মস্তিষ্কে প্রদাহের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয় আর কাঁচা খেজুরের রস পানের ইতিহাস থাকে, তাদের অবশ্যই নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে।

আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালে দেশে একজন মায়ের বুকের দুধে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরে ওই মায়ের সন্তানের মৃত্যু হয়। বুকের দুধে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া সারা বিশ্বে একটি বিরল ঘটনাই বটে। সেই বছর মোট ৫ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এদের সবারই মৃত্যু হয়।

আশঙ্কার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই।