ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাকায় জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলা, বেশ কয়েকজন আহত নওগাঁ বগুড়া-ঢাকা আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ দুপচাঁচিয়ার কইলে ১৬ প্রহর ব্যাপী রাধা গোবিন্দের পদাবলী লীলা কীর্তন শুরু রংপুরের মিঠাপুকুরে বোরকা পরে পালানোর সময় ‘ধর্ষক’কে ধরে গণপিটুনি জাপানি নায়িকা পর্নোগ্রাফি ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দুপচাঁচিয়া উপজেলা কমিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

জাবি আন্তঃবিভাগ হ্যান্ডবল ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মাঠে চারুকলা বিভাগ ও দর্শন বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন সময় এক খেলোয়াড়ের অশোভন আচরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত জুম্মান শিকদার চারুকলা বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও খেলোয়াড়দের বরাতে জানা যায়, “খেলার শেষ পর্যায়ে চারুকলা বিভাগের এক খেলোয়াড় উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় চিৎকার করেন। এরপর চারুকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও দলের খেলোয়াড় জুম্মান শিকদার দর্শন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের দিকে তেড়ে আসেন এবং তাদের উদ্দেশে অশোভন আচরণ ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। এমনকি তিনি নারী শিক্ষার্থীদের গায়ের ওপর পড়ে যান।”

ঘটনাটি দেখে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক, খেলোয়াড় ও দর্শকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অভিযুক্ত জুম্মান শিকদার বলেন, “খেলা চলাকালীন সময়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাংশ অকথ্য ভাষায় স্লেজিং করেছিল। আমি এবং আমার দল জয়ী হওয়ার পর, স্বাভাবিকভাবেই একজন সাধারণ বিজয়ী খেলোয়াড়ের মতোই উদযাপন করেছিলাম। আমি কারও প্রতি বা কাউকে অন্যরকম ভঙ্গি বা ইশারা-ইঙ্গিত দিয়ে কিছু করিনি, যা শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা দেখেছেন। যদি আমার কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে বা কারও খারাপ লেগে থাকে, তবে সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না।”

তবে চারুকলা বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ শামীম রেজা বলেন, “আমাদের যখন ৩ গোল হয়, তখন ও-পাশ থেকে একটি বিশ্রী ভাষায় গালি দেওয়া হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গেই প্রক্টরকে অভিযোগ করি, ‘এই গালিটা কেন দিল?’ আমাদের খুব বেশি দর্শক ছিল না, কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতিনিয়ত স্লেজিং করা হচ্ছিল। খেলা শেষে যখন চারুকলা জয়ী হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে উল্লাস করছিল। খুব সম্ভবত একজন খেলোয়াড় মেয়েদের পাশে গিয়ে বলেছিল, ‘দেখিয়ে তো দিলাম এবার’। তবে ওরা যে অভিযোগ করছে, সেটা সঠিক নয়।”

দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের অনেক খেলাধুলায় এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। এটি শুধু একটি ম্যাচের বিচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দর্শকদের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে। আমাদের পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা উচিত।”

প্রসঙ্গত, ফাইনাল ম্যাচে চারুকলা বিভাগ ৮-৭ গোলের ব্যবধানে দর্শন বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাবি আন্তঃবিভাগ হ্যান্ডবল ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনা!

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মাঠে চারুকলা বিভাগ ও দর্শন বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন সময় এক খেলোয়াড়ের অশোভন আচরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত জুম্মান শিকদার চারুকলা বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও খেলোয়াড়দের বরাতে জানা যায়, “খেলার শেষ পর্যায়ে চারুকলা বিভাগের এক খেলোয়াড় উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় চিৎকার করেন। এরপর চারুকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও দলের খেলোয়াড় জুম্মান শিকদার দর্শন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের দিকে তেড়ে আসেন এবং তাদের উদ্দেশে অশোভন আচরণ ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। এমনকি তিনি নারী শিক্ষার্থীদের গায়ের ওপর পড়ে যান।”

ঘটনাটি দেখে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক, খেলোয়াড় ও দর্শকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অভিযুক্ত জুম্মান শিকদার বলেন, “খেলা চলাকালীন সময়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাংশ অকথ্য ভাষায় স্লেজিং করেছিল। আমি এবং আমার দল জয়ী হওয়ার পর, স্বাভাবিকভাবেই একজন সাধারণ বিজয়ী খেলোয়াড়ের মতোই উদযাপন করেছিলাম। আমি কারও প্রতি বা কাউকে অন্যরকম ভঙ্গি বা ইশারা-ইঙ্গিত দিয়ে কিছু করিনি, যা শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা দেখেছেন। যদি আমার কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে বা কারও খারাপ লেগে থাকে, তবে সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না।”

তবে চারুকলা বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ শামীম রেজা বলেন, “আমাদের যখন ৩ গোল হয়, তখন ও-পাশ থেকে একটি বিশ্রী ভাষায় গালি দেওয়া হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গেই প্রক্টরকে অভিযোগ করি, ‘এই গালিটা কেন দিল?’ আমাদের খুব বেশি দর্শক ছিল না, কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতিনিয়ত স্লেজিং করা হচ্ছিল। খেলা শেষে যখন চারুকলা জয়ী হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে উল্লাস করছিল। খুব সম্ভবত একজন খেলোয়াড় মেয়েদের পাশে গিয়ে বলেছিল, ‘দেখিয়ে তো দিলাম এবার’। তবে ওরা যে অভিযোগ করছে, সেটা সঠিক নয়।”

দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের অনেক খেলাধুলায় এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। এটি শুধু একটি ম্যাচের বিচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দর্শকদের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে। আমাদের পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা উচিত।”

প্রসঙ্গত, ফাইনাল ম্যাচে চারুকলা বিভাগ ৮-৭ গোলের ব্যবধানে দর্শন বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।