টেকনাফে ৫ মণ ওজনের ভোল মাছ ধরা পড়ে, বিক্রি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা

- আপডেট সময় : ০৮:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকার নাফ নদীতে এই মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি শাহপরীরদ্বীপ কোনা পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে ধরা পড়ে। স্থানীয় ভাষায় এই মাছটি ভোল মাছ নামে পরিচিত।
এসব তথ্য নিশ্চি করে শাহপরীর দ্বীপ ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান বলেন, সকালে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকার নাফ নদীর মোহনায় জেলেরা টানা জাল ফেলে। ঘণ্টাখানেক পর জাল টানার চেষ্টা করে জেলেরা। এমন সময় ছোট ছোট মাছের সঙ্গে এই বড় ভোল মাছটি জালে আটকে যায়। পরে জেলেরা নাফ নদী থেকে বড় মাছটি রশি বেঁধে টেনে চরের উপরে তুলে নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নেওয়া হয়। ওই সময় মাছটি দেখতে ভিড় জমান লোকজন।
শাহপরীর দ্বীপ কোনা পাড়ার নৌকার মাঝি নুর মোহাম্মদ জানান, জালে প্রথম বার ১৯৪ কেজি ওজনের বড় ভোল মাছ আটকা পড়েছে। মাছটি শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এনে দাম হাঁকানো হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। পরে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুরূল আলমের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছি।
এদিকে মাছটি বিক্রি করতে মাইকিং করছে মাছ ব্যবসায়ী আবদুর শুক্কুর। তিনি বলেন, নাফনদে জেলেদের কাছ থেকে প্রায় ২’শ কেজি ওজনের ভোল মাছ আড়াই লাখের বেশি দামে কেনা হয়েছে। সেটি বিক্রি করতে মাইকিং করা হচ্ছে। অন্তত কেজি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শাহ পরীর দ্বীপের এক জেলের জালে একটি বিশাল মাছ ধরার খবর শুনেছি। তবে শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত ভোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সাগরের মাছ ধরার ওপর বিভিন্ন ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন হওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আবার বড় মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়লে সবাই দেখে আনন্দ পান, তেমনি জেলেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।