দুপচাঁচিয়া উপজেলাতে আমের মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণে মৌ মৌ চারদিক

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন ফাল্গুনে বিকাশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্র মুকুল। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রতিটি গ্রামে বাড়ি এবং বাগানের আম গাছে প্রকৃতির আপন খেয়ালে বসন্তের আগমন ঘটেছে। ফুলে ফুলে সুবাসিত চারদিক। মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে প্রকৃতি, এখনই গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই আগাম আমের মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ চারদিক।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে। বাড়ির উঠানে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। বাতাসে দোলা মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। গাছের আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালী রেণু যেনো ফুলশয্যা সাজিয়ে স্বাগত জানা গেছে ফাগুনকে। সেই সাথে বিদায় নিবে শীতকাল। তবে আবহাওয়ার ওপর আমের ফলন নির্ভর করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে। ইতিমধ্যে কিছু গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার অনেক আম চাষি জানান, প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে থেকে তাদের লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। কিছু গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। তবে বেশিরভাগ গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষকরা জানান, সবেমাত্রগাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়াগত কারনে দেশীয় জাতের আম গাছে এই আগাম মুকুল দেখা যাচ্ছে। তবে এ সময় বিভিন্ন পোকামাকড় মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুব ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
একটু আগে থেকেই আমের মুকুল আসায়, ঘণ কুয়াশায় মুকুল ঝরে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অবশ্য সে প্রভাব মনে হয় আর পড়বে না যেহেতু হালকা গরম দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, উপজেলার যে কোন কৃষক কৃষি পরামর্শ ও_ সহযোগিতা করতে মাঠ সহায়ক সহ সকলেই আন্তরিক।