ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা সিটি মেয়র ও বাগেরহাট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা ক্ষেতলালে এ্যাকশান ইন বাংলাদেশ এর উদ্দ্যোগে বিনামূল্যে বকনা বিতরণ ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার গফরগাঁওয়ে শিশুর মুখে বেলুন আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ১০ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ফকিরহাটে ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, টাকা লুটের অভিযোগ খুলনার হোটেলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নৌবাহিনীর ভর্তি বাণিজ্যের বড় চক্র গ্রেফতার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক বাগেরহাটের মংলায় ভিটিআরটি ও বাঘ বন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

নওগাঁয় স্বামীর স্বকৃীত চেয়ে মৌসুমি খাতুনের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁয় স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে মৌসুমী খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সন্মেলন করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী সোহেল রানা চয়েন নামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, করেছেন দীর্ঘ দুই বছর সংসার।

অভিযোগ করে বলেন, সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন সোহেল রানা। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে স্ত্রীর মর্যদা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ভূক্তভোগী মৌসুমী খাতুন শহরের কোমাইগাড়া (কাটিয়াপাড়া) মহল্লার মনছুর আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন শহরের কোর্ট চত্বরে এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাঁপানিয়া- বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানা চয়নের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন।

মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে একাধিকবার। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হতো। তারপরও পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে সকল অন্যায় নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলাম।

এক পর্যায়ে তার পরিবারের কুপরামর্শে আবারো নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেই। তার কিছুদিন পরে আমার স্বামী সোহেল রানা আবারো যোগাযোগ করে এবং তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়।

মৌসুমি বলেন, সোহেল রানা চাকরি পেলে আলাদা ভাবে সংসার শুরু করবে এই আশ্বাসে আমার ফুফুর বাসায় এবং বোনের বাসায় এসে আমার সাথে গোপনে সংসার করে। এবং বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে।

এইভাবে এক বছর সংসার করি আমরা। এরই মাঝে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বকভাবে আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। তারপরও সংসার করে আসছিলাম।

একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা এবং বোনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে দেই। এর কিছুদিন পরে আমার স্বামীর ভূমি অফিসে অফিস সহকারি পদে চাকরি হয়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার আসল রুপ শুরু হয়। আমার সাথে আবারো বৈরী আচরণ শুরু করে। এর মাঝে জানতে পারি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে।

বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সাথে নিয়ে আমার স্বামীর বাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে বলে জানান। কিন্তু এ পর্যন্ত তার পেছনে আমার গহনা, আসবাব পত্র ও নগদ টাকাসহ মোট ৭লাখ টাকার মত দিয়েছি।

স্বামীর সংসারে ফিরে যাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে কোন উপায় না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে দুটি মামলা করেছি। কিন্তু তার বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং ডিসি অফিসে চাকরি করে এমন পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাই দ্রুত প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌসুমী স্ত্রী ছিল স্বীকার করে অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে বলে জেনেছি। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো সঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নওগাঁয় স্বামীর স্বকৃীত চেয়ে মৌসুমি খাতুনের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁয় স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে মৌসুমী খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সন্মেলন করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী সোহেল রানা চয়েন নামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, করেছেন দীর্ঘ দুই বছর সংসার।

অভিযোগ করে বলেন, সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন সোহেল রানা। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে স্ত্রীর মর্যদা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ভূক্তভোগী মৌসুমী খাতুন শহরের কোমাইগাড়া (কাটিয়াপাড়া) মহল্লার মনছুর আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন শহরের কোর্ট চত্বরে এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাঁপানিয়া- বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানা চয়নের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন।

মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে একাধিকবার। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হতো। তারপরও পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে সকল অন্যায় নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলাম।

এক পর্যায়ে তার পরিবারের কুপরামর্শে আবারো নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেই। তার কিছুদিন পরে আমার স্বামী সোহেল রানা আবারো যোগাযোগ করে এবং তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়।

মৌসুমি বলেন, সোহেল রানা চাকরি পেলে আলাদা ভাবে সংসার শুরু করবে এই আশ্বাসে আমার ফুফুর বাসায় এবং বোনের বাসায় এসে আমার সাথে গোপনে সংসার করে। এবং বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে।

এইভাবে এক বছর সংসার করি আমরা। এরই মাঝে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বকভাবে আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। তারপরও সংসার করে আসছিলাম।

একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা এবং বোনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে দেই। এর কিছুদিন পরে আমার স্বামীর ভূমি অফিসে অফিস সহকারি পদে চাকরি হয়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার আসল রুপ শুরু হয়। আমার সাথে আবারো বৈরী আচরণ শুরু করে। এর মাঝে জানতে পারি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে।

বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সাথে নিয়ে আমার স্বামীর বাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে বলে জানান। কিন্তু এ পর্যন্ত তার পেছনে আমার গহনা, আসবাব পত্র ও নগদ টাকাসহ মোট ৭লাখ টাকার মত দিয়েছি।

স্বামীর সংসারে ফিরে যাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে কোন উপায় না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে দুটি মামলা করেছি। কিন্তু তার বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং ডিসি অফিসে চাকরি করে এমন পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাই দ্রুত প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌসুমী স্ত্রী ছিল স্বীকার করে অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে বলে জেনেছি। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো সঠিক নয়।