ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলো মেহেরপুরে অস্ট্রেলিয়ায় অপমান ও হেনস্থায় মুখ খুললেন নেহা” আমি বিনা পরিশ্রমিকে গিয়েছি” টিকটক চ্যালেঞ্জের কারণে ৭ বছরের মেয়ে কোমায় মৃত্যু বরণ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নতুন শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা এক জরিপে বলা হয় ইসরাইল ও নেতানিয়াহুর ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে বেশিরভাগ কানাডিয়ান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করলেন ইশরাক হোসেনকে ধানমন্ডিতে র‌্যাব-ম্যাজিস্ট্রেট-ছাত্র পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬ রোহিঙ্গাদের জনপ্রতি বরাদ্দ ১২ ডলার বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার সব-ই ক্বদর : ঈমানদারদের জন্য আমীরে জামায়াতের প্রার্থনা

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কৃতি সন্তান হাসান ইন্টেল চাকরি মাইনে ২ কোটি টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জি এম হাসান উল বান্না। বছরে বেতন পাবেন ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বোনাস মিলে পাবেন ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার মতো। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিমা, সন্তানদের স্কুলের সুবিধা ও নিজের পড়াশোনার খরচও পাবেন।
ইন্টেল করপোরেশনের ওরেগন অফিসে ৬ জানুয়ারি মডিউল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন জি এম হাসান উল বান্না। লজিক ট্রানজিস্টর ডেভেলপমেন্টর নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করার পর হাসান উল বান্না দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংনাম ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে পিএইচডি শেষ করেন।ইন্টেলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন।

জি এম হাসান উল বান্না বলেন, ‘২০২৪ সালে পিএইচডি অধ্যয়নরত অবস্থায় চাকরির আবেদন শুরু করি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টেল থেকে ভাইভার জন্য ডাক পাই। তিন ধাপে ভাইভা নেওয়ার পর জুনে আমাকে চাকরির জন্য কনফার্ম করে। প্রতিটি ধাপেই মনে হচ্ছিল, কোনো ভুল করলাম আর বাদ পড়ে গেলাম। সবচেয়ে কঠিন ছিল শেষের ইন্টারভিউ, যেখানে সারা দিনবাপী কয়েকজন সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান সবাই বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিলেন এবং সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, জীবনে যা কিছু শিখেছি, জেনেছি সব কাজে লাগছে।’
হাসান উল বান্না বলেন, ‘শেষে যখন চাকরির অফার পেলাম, তখন মনে হলো জীবনের অনেক বড় একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। কিন্তু তখনো আমার পিএইচডি শেষ হয়নি। এরপর পরিশ্রমের মাত্রা বেড়ে গেল। পিএইচডি শেষে ৬ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিই।’নওগাঁর বদলগাছীতে হাসান উল বান্নার বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা জয়পুরহাটে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি ও আক্কেলপুর এমআর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন।
ইন্টেলে চাকরি করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাসান উল বান্না বলেন, ‘স্বপ্ন না দেখলে কখনোই চেষ্টা করা হবে না। আর চেষ্টা না করলে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত থেকে নেতৃত্বগুণ অর্জন করতে হবে। এগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে লাগে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কৃতি সন্তান হাসান ইন্টেল চাকরি মাইনে ২ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জি এম হাসান উল বান্না। বছরে বেতন পাবেন ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বোনাস মিলে পাবেন ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার মতো। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিমা, সন্তানদের স্কুলের সুবিধা ও নিজের পড়াশোনার খরচও পাবেন।
ইন্টেল করপোরেশনের ওরেগন অফিসে ৬ জানুয়ারি মডিউল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন জি এম হাসান উল বান্না। লজিক ট্রানজিস্টর ডেভেলপমেন্টর নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করার পর হাসান উল বান্না দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংনাম ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে পিএইচডি শেষ করেন।ইন্টেলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন।

জি এম হাসান উল বান্না বলেন, ‘২০২৪ সালে পিএইচডি অধ্যয়নরত অবস্থায় চাকরির আবেদন শুরু করি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টেল থেকে ভাইভার জন্য ডাক পাই। তিন ধাপে ভাইভা নেওয়ার পর জুনে আমাকে চাকরির জন্য কনফার্ম করে। প্রতিটি ধাপেই মনে হচ্ছিল, কোনো ভুল করলাম আর বাদ পড়ে গেলাম। সবচেয়ে কঠিন ছিল শেষের ইন্টারভিউ, যেখানে সারা দিনবাপী কয়েকজন সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান সবাই বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিলেন এবং সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, জীবনে যা কিছু শিখেছি, জেনেছি সব কাজে লাগছে।’
হাসান উল বান্না বলেন, ‘শেষে যখন চাকরির অফার পেলাম, তখন মনে হলো জীবনের অনেক বড় একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। কিন্তু তখনো আমার পিএইচডি শেষ হয়নি। এরপর পরিশ্রমের মাত্রা বেড়ে গেল। পিএইচডি শেষে ৬ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিই।’নওগাঁর বদলগাছীতে হাসান উল বান্নার বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা জয়পুরহাটে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি ও আক্কেলপুর এমআর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন।
ইন্টেলে চাকরি করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাসান উল বান্না বলেন, ‘স্বপ্ন না দেখলে কখনোই চেষ্টা করা হবে না। আর চেষ্টা না করলে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত থেকে নেতৃত্বগুণ অর্জন করতে হবে। এগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে লাগে।’