ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা সিটি মেয়র ও বাগেরহাট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা ক্ষেতলালে এ্যাকশান ইন বাংলাদেশ এর উদ্দ্যোগে বিনামূল্যে বকনা বিতরণ ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার গফরগাঁওয়ে শিশুর মুখে বেলুন আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ১০ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ফকিরহাটে ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, টাকা লুটের অভিযোগ খুলনার হোটেলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নৌবাহিনীর ভর্তি বাণিজ্যের বড় চক্র গ্রেফতার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক বাগেরহাটের মংলায় ভিটিআরটি ও বাঘ বন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ঠিকাদারের ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, নির্মাণ কাজ বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোলাম মোস্তফা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি তিনতলা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে। খোদ ঠিকাদার আর এস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এমরান কাদের চৌধুরী এ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে অর্থ নয় ছয়ের দায় স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন ‘আপনি ধরলে অনেক কিছুই ধরতে পারেন। এ দায় আমার একার নয়, ঠিকাদারের উপরও বর্তায়।’
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি পিডিপি ৪ প্রকল্পের আওতায় আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ লাখ টাকা।
ঠিকাদার আর এস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এমরান কাদের চৌধুরী দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, আমার বাড়ি পাবনার ঈশ^রদী উপজেলায়। তাড়াশের স্থানীয় আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তিকে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার আব্দুল মমিনকে ম্যানেজ করে নির্মাণাধীন আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করেছেন। প্রায় আড়াই বছর আগে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতদিনে গেট বিম ও কলাম ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। বিল উত্তোলন করা হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা। আমি দূর থেকে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে পারিনি। এ সুযোগে অর্থ আত্মসাত করেছেন দুই কর্মকর্তা। এখন টাকার অভাবে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শঙ্কিত। কবে শেষ হবে নির্মাণ কাজ। এ বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে স্থাপিত। প্রত্যন্ত অঞ্চলের আশপাশের কয়েক গ্রামের শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। শ্রেণি কক্ষের সংকটে পাঠদান ব্যহত হয়। দ্রæততম সময়ে বিদ্যালের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন বলেন, আগামী জুন মাসে পিডিপি ৪ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। বার বার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হককে। তাগাদা দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে গেছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের গেট বিম ও কলামের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন ভবনের ভেতর মাটি ফেলে রেখেছে।
তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন ‘আপনি এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের সাথে দেখা করুন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি সেভাবে কাজ করেছি।’
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, বিল উত্তোলন করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর যৌথ স্বাক্ষরে। আপনি তাদের সাথে কথা বলুন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এক মাসও হয়নি তাড়াশে আসার। আমি এ ধরনের কোন বিলে স্বাক্ষর করিনি।#

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ঠিকাদারের ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, নির্মাণ কাজ বন্ধ

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

গোলাম মোস্তফা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি তিনতলা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে। খোদ ঠিকাদার আর এস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এমরান কাদের চৌধুরী এ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে অর্থ নয় ছয়ের দায় স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন ‘আপনি ধরলে অনেক কিছুই ধরতে পারেন। এ দায় আমার একার নয়, ঠিকাদারের উপরও বর্তায়।’
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি পিডিপি ৪ প্রকল্পের আওতায় আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ লাখ টাকা।
ঠিকাদার আর এস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এমরান কাদের চৌধুরী দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, আমার বাড়ি পাবনার ঈশ^রদী উপজেলায়। তাড়াশের স্থানীয় আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তিকে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার আব্দুল মমিনকে ম্যানেজ করে নির্মাণাধীন আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করেছেন। প্রায় আড়াই বছর আগে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতদিনে গেট বিম ও কলাম ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। বিল উত্তোলন করা হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা। আমি দূর থেকে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে পারিনি। এ সুযোগে অর্থ আত্মসাত করেছেন দুই কর্মকর্তা। এখন টাকার অভাবে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শঙ্কিত। কবে শেষ হবে নির্মাণ কাজ। এ বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে স্থাপিত। প্রত্যন্ত অঞ্চলের আশপাশের কয়েক গ্রামের শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। শ্রেণি কক্ষের সংকটে পাঠদান ব্যহত হয়। দ্রæততম সময়ে বিদ্যালের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন বলেন, আগামী জুন মাসে পিডিপি ৪ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। বার বার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হককে। তাগাদা দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে গেছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমবাড়িয়া শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের গেট বিম ও কলামের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন ভবনের ভেতর মাটি ফেলে রেখেছে।
তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন ‘আপনি এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের সাথে দেখা করুন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি সেভাবে কাজ করেছি।’
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, বিল উত্তোলন করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর যৌথ স্বাক্ষরে। আপনি তাদের সাথে কথা বলুন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এক মাসও হয়নি তাড়াশে আসার। আমি এ ধরনের কোন বিলে স্বাক্ষর করিনি।#