বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জমি থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
দুপচাঁচিয়ায় আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে আলু তুলতে শুরু করেছেন কৃষক। আলুর ফলনে চাষের খরচ পুষিয়ে লাভ করতে পারবেন কৃষক এই অশা তাদের।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। নারী-পুরুষ ও শিশুসহ দলবেঁধে মনের আনন্দে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন কৃষক।পাইকাররা ক্ষেত থেকে আলু কিনে নিচ্ছেন।আবার স্থানীয় বাজারে কৃষক নিজে পাইকারি ও খুচরা দুইভাবেই আলু বিক্রি করছেন।
এবার শীত ও কুয়াশায় আলুর ফলন কিছুটা কম হলেও দামও কম থাকায় বাজারে আলু বিক্রি করে তেমন লাভ হবেনা এমনটাই বলছেন কৃষক। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। এ কারণে কৃষকরা বেশ খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভায় এবার ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। কার্ডিনাল (লাল), ডায়মন্ড,জাম, পাঘরি, এবং স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে। পরিপক্ব হওয়ায় মাঠ থেকে আলু ওঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিন মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রাম সহ আশে পাশের দোগাছি, পরানপুর, পোড়াঘাটা, গোবিন্দপুর, খিহালী, বেলোহালি, দামকুড়ি, আশুঞ্জা, বানিয়াদিঘী, আমশট্ট সহ বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়,কৃষকরা দলবেঁধে ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন।কেউ কেউ আবার আলু পরিষ্কার করে বস্তায় ভরছেন।অনেক কৃষক বাড়িতে আলু মেপে তা বস্তায় ভরে হিমাগারে রাখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলার কইল গ্রামের কৃষক মন্টু কুমার মালাকার ও একই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার কৃষক মোঃ নুরুল ইসলাম (নুরু)। বলেন, জমিতে আলু চাষ করছি।অনেক ভালো আলু হইছে। আমি কিছু আলু বিক্রি করছি। বর্তমানে ওই জমিতে আবার ইরি-বোরো ধান লাগাইছি। অন্যান্য ইউনিয়নের কৃষকরা বলেন, দেশী লাল জাতের আলু চাষ করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৬ হাজার টাকা। বাজারে আলুর দাম একটু কম হওয়ায় তেমন লাভ হবেনা।
কৃষক মন্টু মালাকার বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু আলু চাষে সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সে তুলনায় আলুর দাম কম থাকায় আলু চাষিরা এবার তেমন লাভের আশা দেখছে না। এদিকে আরেক আলু চাষী সুজন কুমার সেন বলেন, আলুর বীজ থেকে শুরু করে কীটনাশক ওষুধ কামলার মজুরী সেচ সহ প্রতি বিঘাতে খরচ হয়েছে ২৪ থেকে ২৭ হাজার টাকা। , সে তুলনায় বিঘা প্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। কৃষকরা আলুর দাম ভালো না পেলে দিন দিন আলুর চাষে আগ্রহ হারাবেন কৃষকরা।