বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁর বাগাচারা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘাতক ট্র্যাক – ড্রাইভার মামুনুর রশীদ নামে এক জন গ্রেফতার!!!! নওগাঁ জেলা প্রশাসসক খালিদ মেহেদী হাসানকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন সাংবাদিক সংগঠন!!!! রাজশাহীতে পরিচালক শাকিলের নেতৃত্বে নতুন একশন শর্ট ফিল্ম তৈরি পটুয়াখালী গলাচিপায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪/ ৫টি দোকান পুড়ে ছাই, নিস্ব দোকান মালিক দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসবে আরও ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দুপচাঁচিয়া থানা অভিযানে হেরোইন সহ একজন গ্রেফতার নওগাঁ জেলা মহাদেবপুর উপজেলার ১০নং ভীমপুর খোদ্দনারায়নপুর পালপাড়া বিশ্বের শান্তির উপলক্ষে ১৬ প্রহরব্যাপী লীলা কৃর্ত্তন ও যজ্ঞানুষ্ঠান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত!! একজনের মুক্তিযোদ্ধার সংক্ষিপ্ত জীবনী রাঙ্গাবালী নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি প্রত্যাশায় নড়াইল ২ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত- লায়ন নুর ইসলাম শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালাইয়ের ঐশী ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে ২য় হয়েছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত দিনাজপুর হিলিতে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নওগাঁয় মিতু খাতুন নামে হাত-পা বাঁধা এক কিশোরীর মৃত্যুদেহ উদ্ধার!!!! নওগাঁ মহাদেবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ ৫ জন নিহত!!!! বোরখা পড়ায় ছাত্রীকে শিক্ষকের অশ্লীল ভাষায় গালি; অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ,আ,লীগ নেতা গালিগালাজ করলেন সাংবাদিকদের দুপচাঁচিয়ায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা তিন দিনব্যাপী শুভ উদ্বোধন দুপচাঁচিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে মত বিনিময় সভা

বিজয়ের ৪৯ বছর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চূড়ান্ত করে পাকবাহিনী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২০২ বার পঠিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণে ধাপে ধাপে এগোচ্ছিলেন তিনি। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র নির্বাচন, ’৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ’৭০-এর নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়। এরপরও ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছিল না পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক জনসভায় সুকৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

এই ঘোষণার পরই বাঙালি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। যদিও চূড়ান্ত প্রতিরোধ শুরু হয় ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশলাইনসসহ বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর। সেই থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বীরদর্পে লড়াই করে চলছিল। ডিসেম্বর মাসে এসে পরাজয় বরণ করতে শুরু করে পাকিস্তান বাহিনী।

১০ ডিসেম্বরের পর মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন। এমন এক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানিরা বিদেশি সাহায্যের দিকে তাকিয়েছিল। কিন্তু সাহায্য না পেয়ে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ কামড় হিসেবে ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার’ নীলনকশা চূড়ান্ত করে তারা।

পাকিস্তান একদিকে যেমন সামরিক সাহায্যের প্রতীক্ষায় ছিল তেমনি তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ১১ ডিসেম্বর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভোরেন্টসভকে ডেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার হুশিয়ার করে দেন। তিনি বলেন, আগামীকাল (১২ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্নের আগে ভারতকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেই প্রয়োজনীয় সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কিন্তু ভারতকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের সব চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের দীর্ঘ বক্তব্যের পর অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। এদিকে ১২ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা দূরত্বে গভীর সমুদ্রে চলে আসে মার্কিন সপ্তম নৌবহর।

সেদিন রাতে প্রাদেশিক সরকারের বেসামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী আলবদর ও আলশামসের কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের ডেকে পাঠান সদর দফতরে। তার সভাপতিত্বে গোপন শলাপরামর্শ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়। তাদের হাতে ফরমান আলী তুলে দেন বুদ্ধিজীবীসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নামের তালিকা।

এদিন মেজর আবু তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভালুকা ও হালুয়াঘাট হয়ে ময়মনসিংহ সড়কের দিকে এগিয়ে যান। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী দিনাজপুরের খানসামা থানা আক্রমণ করে। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ১৫ জন ও সাত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাদের হাতে এক মেজরসহ পাকবাহিনীর ১৯ জন ধরা পড়ে। এদিন নীলফামারী হানাদারমুক্ত হয়।

এদিনই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মিত্রবাহিনী ছত্রীসেনা নামিয়ে দেয়। রাতে টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় মিত্রবাহিনী। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে কাদেরিয়া বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়।

নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমিন অত্যন্ত কঠোর ভাষায় ভারতকে পাকিস্তান ছেড়ে যেতে বলেন। তিনি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মাতৃভূমি রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। কোনো শক্তি নেই পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারে।’ এদিকে রেডিও পিকিং ঘোষণা করে, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের মাধ্যমে পাকিস্তান আক্রমণ করে মূলত চীনকেই দমন করতে চায়।’

এরইমধ্যে এপিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার ও সাংবাদিক নিজামউদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। তার বাসায় যখন হানা দেয়া হয় তখন তিনি বিবিসির জন্য সংবাদ লিখছিলেন। পরে তাকে হত্যা করে আলবদররা। ১২ ডিসেম্বর সকালে নরসিংদী মুক্ত হয়। তিন দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় ভারতীয় বাহিনীর পাঁচটি ব্যাটালিয়ন, দুটি গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও ৫৭ ডিভিশনের ট্যাকটিক্যাল হেডকোয়ার্টার মেঘনা অতিক্রম করে।

সূর্যাস্তের আগে জামালপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ভারতীয় জেনারেল নাগরার বাহিনী চলে আসে টাঙ্গাইলে। বিমান থেকে অবতরণ করা ছত্রীসেনারা মিলিত হয় নাগরার বাহিনীর সঙ্গে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150