ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা সিটি মেয়র ও বাগেরহাট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা ক্ষেতলালে এ্যাকশান ইন বাংলাদেশ এর উদ্দ্যোগে বিনামূল্যে বকনা বিতরণ ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার গফরগাঁওয়ে শিশুর মুখে বেলুন আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ১০ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ফকিরহাটে ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, টাকা লুটের অভিযোগ খুলনার হোটেলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নৌবাহিনীর ভর্তি বাণিজ্যের বড় চক্র গ্রেফতার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক বাগেরহাটের মংলায় ভিটিআরটি ও বাঘ বন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

মাগুরায় হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে,ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করতে এসে আটক-৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাগুরা প্রতিনিধি।
মাগুরায় হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করতে এসে,মাগুরায় সদর থানা পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছে ৩ জন।তাদের তিন জনের বাড়ি মাগুরা সদরের বেরইল গ্রামে।তারা হলেন রিয়া খাতুন ও তার মা পপি বেগম ও প্রতিবেশী লিপি খাতুন।গত মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মাধ্যমে ঐ তরুনী বলেন,একই গ্রামের ইমরুল ও হাসান এবং তাদের সাথে থাকা আরেক জন ঈদের দিন ঘুরে বেড়ানোর সময় তাকে মুখ বেঁধে বাগানে নিয়ে তার উপর নির্যাতন করে সারা রাত তিনজন মিলে ধর্ষণ করে,একেকজন তাকে ৩-৪বার করে তাকে ধর্ষণ করে,তাদের ফাঁশিও চাওয়া হয় ঐ ভিডিও বার্তায়।এ বিষয়ে তারা থানায় এসেছিলো মামলা করতে। তবে যে ভিডিও রিয়া দিয়েছে,সেখানে শোনা যাচ্ছে সামনে থেকে কোনো এক মহিলা তাকে সকল কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন,যেটা ঐ ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।এই ধর্ষণের ঘটনায় যে দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই দুই হলো গত ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা শরিফুলের আপন ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই।আর এই শরিফুল হত্যা মামলার ৮নং আসামি মনিরুল।এই মনিরুলের স্ত্রী হলো লিপি খাতুন।ভিডিও বার্তায় এই লিপি-ই ঐ তরুণীকে সব কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান নিহত শরিফুলের পিতা আকবর মেম্বার। এ বিষয়ে হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলেন,ঐ মেয়েটা একটি গঙ্গারামপুর একটি ছেলে সাথে ঈদের দিন চলে যায়,যেটা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে শালিস হয়,যে ছেলেটা সাথে যায় সে ছেলেটা আমাদের চাচা তোতা মিয়ার আত্মীয়,চাচা আমাকে ও ইমরুল ভাইকে নিয়ে ঐ শালিসে যায়,সেখানে শালিস শেষে মেয়েকে তার মার কাছে এবং ছেলেকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে ভিডিও ও স্টাম্প করে রাখে তারা,এতটুকু-ই জানি পরে দেখি সে আমাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের কথা বলছে।এদিকে এ ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাই-বাছাই করতে রিয়া যে ছেলে সাথে ঈদের দিন গিয়েছিল তাকেসহ যাদের আনা হয়েছে,তাদেরও কোর্টে চালান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা,কতজন আটক এবং তাদের কি করা হবে এসকল বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কিছুই স্পষ্ট করছেন না।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো:আইয়ুব আলী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,তারা যে মিথ্যা মামলা করতে এসেছিলো এটা আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মাগুরায় হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে,ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করতে এসে আটক-৩

আপডেট সময় : ০২:২০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

মাগুরা প্রতিনিধি।
মাগুরায় হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করতে এসে,মাগুরায় সদর থানা পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছে ৩ জন।তাদের তিন জনের বাড়ি মাগুরা সদরের বেরইল গ্রামে।তারা হলেন রিয়া খাতুন ও তার মা পপি বেগম ও প্রতিবেশী লিপি খাতুন।গত মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মাধ্যমে ঐ তরুনী বলেন,একই গ্রামের ইমরুল ও হাসান এবং তাদের সাথে থাকা আরেক জন ঈদের দিন ঘুরে বেড়ানোর সময় তাকে মুখ বেঁধে বাগানে নিয়ে তার উপর নির্যাতন করে সারা রাত তিনজন মিলে ধর্ষণ করে,একেকজন তাকে ৩-৪বার করে তাকে ধর্ষণ করে,তাদের ফাঁশিও চাওয়া হয় ঐ ভিডিও বার্তায়।এ বিষয়ে তারা থানায় এসেছিলো মামলা করতে। তবে যে ভিডিও রিয়া দিয়েছে,সেখানে শোনা যাচ্ছে সামনে থেকে কোনো এক মহিলা তাকে সকল কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন,যেটা ঐ ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।এই ধর্ষণের ঘটনায় যে দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই দুই হলো গত ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা শরিফুলের আপন ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই।আর এই শরিফুল হত্যা মামলার ৮নং আসামি মনিরুল।এই মনিরুলের স্ত্রী হলো লিপি খাতুন।ভিডিও বার্তায় এই লিপি-ই ঐ তরুণীকে সব কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান নিহত শরিফুলের পিতা আকবর মেম্বার। এ বিষয়ে হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলেন,ঐ মেয়েটা একটি গঙ্গারামপুর একটি ছেলে সাথে ঈদের দিন চলে যায়,যেটা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে শালিস হয়,যে ছেলেটা সাথে যায় সে ছেলেটা আমাদের চাচা তোতা মিয়ার আত্মীয়,চাচা আমাকে ও ইমরুল ভাইকে নিয়ে ঐ শালিসে যায়,সেখানে শালিস শেষে মেয়েকে তার মার কাছে এবং ছেলেকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে ভিডিও ও স্টাম্প করে রাখে তারা,এতটুকু-ই জানি পরে দেখি সে আমাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের কথা বলছে।এদিকে এ ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাই-বাছাই করতে রিয়া যে ছেলে সাথে ঈদের দিন গিয়েছিল তাকেসহ যাদের আনা হয়েছে,তাদেরও কোর্টে চালান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা,কতজন আটক এবং তাদের কি করা হবে এসকল বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কিছুই স্পষ্ট করছেন না।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো:আইয়ুব আলী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,তারা যে মিথ্যা মামলা করতে এসেছিলো এটা আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি।