বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জয়পুরহাট জেলা পর্যায়ে ১০ টার মধ্যে ৫টা পুরস্কারই পেয়েছে ওমর স্কুলের শিক্ষার্থীরা সরিষাবাড়িতে বিএনপি জামাতের নৈরাজ্যে প্রতিরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ডা . মুরাদ হাসান এমপি শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয মদ সহ গ্রেপ্তার-১ দুপচাঁচিয়ায় পুলিশের অভিযানে ৩ মাদক সেবী সহ গ্রেফতার ৬ শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল আলীমকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন উপজেলা প্রশাসন নওগাঁর মান্দায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে শাশুড়ির বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ!!! বিশাল মটরসাইকেল বহরে গণসংযোগে ব্যস্ত নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এমডি আতাউর রহমান প্রধান সরিষাবাড়ীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ছেলের হাতে বাবা খুন”চট্টগ্রামে ৮ খন্ড লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে-পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)। নওগাঁ দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে ২৬ ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে আজ!!!! নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির ২০২৩ নব নির্বাচিত সভাপতি মহাতাব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর নওগাঁ ডেঙ্গু নিরাপত্তায় ‘মশারি’ সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত!!!! মধুপুরে বিষাক্ত রঙ ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য, বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে মধুপুরে ঘুর্ণিঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড খুলে দেওয়া হয়েছে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা মাগুরা ছাত্রদলের সভাপতি’কে মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। শিক্ষার্থী এলেও আসেনি শিক্ষকরা, অযুহাত বৃষ্টির আমান ও তার ছেলে ফাহাদ মিলে হাবিজুর কে মারধর করে সর্বশেষ জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ দুপচাঁচিয়ায় কাঁচা বাজারের লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্যের দাম দুপচাঁচিয়ায় পুলিশ অভিযানে ১ ছিনতাইকারী আটক

মাছের আঁশের কদর দিন দিন বাড়ছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩২০ বার পঠিত

cinn :-

রাজশাহীতে মাছের আঁশের কদর এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই মণ মাছের আঁশ কেনাবেচা হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহী থেকে সরাসরি আঁশ রপ্তানির কোনো সুযোগ নেই। যদি সুযোগ থাকতো তাহলে ভালো দাম পাওয়া যেতো।
তাই সম্ভাবনাময় এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিকল্প পেশার মানুষ। আর আঁশের ব্যবসার প্রসারের জন্য সবার আগে সরকারি সহায়তা এবং পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাছের আঁশের ব্যবসা রাজশাহীতে অনেকটাই নতুন। আগে এখানকার হাট-বাজারে মাছের আঁশের কদরই ছিল না। বাজারের মাছপট্টিতে জমা হওয়া আঁশগুলো ময়লা নর্দমায় ফেলে দেওয়া হতো। সময়ের বিবর্তনে এখন সেই আঁশেরই কদর তুঙ্গে। রাজশাহীর বাজারগুলোতে এখন ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যবসায়ী মাছের আঁশ সংগ্রহ করছেন। সাধারণত একটি মাছ কাটার জন্য পাঁচ থেকে দশ টাকা করে মজুরি নেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি তারা আলাদা করে মাছের আঁশ সংগ্রহ ও বিক্রির ব্যবসা করছেন। ফলে সরাসরি মাছ বিক্রি না করলেও বাজারে মাছ কেটে ও মাছের আঁশ কেনাবেচা করে এখন অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। মাছ বিক্রির পাশাপাশি এটি বিকল্প পেশা হিসেবেও এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে রাজশাহীতে। মাছের সঙ্গে আঁশ বিক্রি করে খুলেছে অতিরিক্ত আয়ের পথ। এই ফেলনা জিনিসটিও তাই সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এখন দেশজুড়েই তাদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজশাহী ছাড়াও, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাছের আঁশ কেনাবেচার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অন্তত শতাধিক লোক আঁশ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত। বাজারে যারা মাছ কাটেন এবং আঁশ ছাড়ান, প্রথম কাজটা তারাই করেন।

প্রথম পর্যায়ে এভাবে একসাথে ৩/৪ মণ মাছের আঁশ বস্তায় পুরে জমানো হয়। এরপর রাজধানী ঢাকা থেকে পাইকারী ক্রেতারা আঁশ কিনতে রাজশাহী আসেন। দরদাম করে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা লাভে তাদের কাছে মাছের শুকনো ঝরঝরা আঁশগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে বাজারে চাহিদা থাকলেও রাজশাহী থেকে মাছের আঁশ সরাসরি রপ্তানির সুযোগ নেই। তাই ব্যবসায়ীরা বিক্রিত মাছের আঁশের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
জানা যায়, মাছের আঁশের বড় রপ্তানির গন্তব্য হচ্ছে জাপান। কিন্তু সরাসরি জাপানে পাঠানো যায় না। জাপানি একটি বড় কোম্পানি চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় দুটি আলাদা কোম্পানি খুলেছে। ওখানে আগে পাঠানো হয়। মূল কোম্পানি পরে নিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়াতেও এখন কারখানা গড়ে উঠেছে। রপ্তানির জন্য তৈরি করার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে। তাদের সনদ পাওয়ার পরই রপ্তানির অনুমতি মেলে।
বছরে দেশ থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টন আঁশ রপ্তানি হয় বলে জানা যায়।

বর্তমানে দেশে তিনটি কারখানা আছে। মোট রপ্তানি হয় আনুমানিক দেড় লাখ ডলারের পণ্য। তবে সুযোগ না থাকায় রাজশাহী থেকে সরাসরি মাছের আঁশ রপ্তানি করা যায় না। মূলত ঢাকা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তাদের মাছের আঁশ জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। জাপান ছাড়াও থাইল্যান্ড এবং ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে মাছের আঁশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উন্নতমানের প্রসাধনসামগ্রী ফুড সাপ্লিমেন্ট, ক্যাপসুলের ক্যাপ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার হয় ফেলে দেওয়া এই মাছের আঁশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150