রমজান আসলেই বাজারে বাড়ে সকল পণ্যের দাম

- আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
পবিত্র রমজান মাস আসলেই অনেক পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। প্রতি বছর এসময়ে ছোলা, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, মুড়ি ও খেজুরের মতো পণ্যগুলোর চাহিদা হু হু করে বেড়ে যায়। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দাম। তবে এ বছর রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্যের দাম এখনো অনেকটাই স্থিতিশীল। যদিও প্রায় একমাস ধরে চলা সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। সয়াবিন তেল ছাড়া রমজানের অন্যসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে এবং কিছু পণ্যের দাম একটু বেড়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) সকালে উপজেলা সহ বিভিন্ন হাট ও বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে। রমজানে বাজারে পণ্য কিনতে আশা বেশিরভাগ মুদি দোকানে ক্রেতাদের অন্য পণ্যের সঙ্গে ওইসব পণ্য কিনতে দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা কেজি দরে। গত বছর রমজানেও এ দামে ছোলা কেনা গেছে। একইভাবে খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকা ও মসুর ডাল ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
উপজেলা চৌমুহনী বাজারের মুদি দোকানি মোঃ কুদ্দুস আলী বলেন, ডালজাতীয় কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে কিছুটা। আগের বছর রমজানেও এমন দাম ছিল। মাঝে মসুরের দাম কিছুটা বেড়েছিল, এখন সেটা কমেছে।
মাস দুই আগে চিনির দাম উঠেছিল ১২৫-১৩০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এ বিক্রেতা।
তবে অস্থিরতা রয়ে গেছে সয়াবিন তেলের বাজারে। ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকট এখনো কাটেনি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে সয়াবিন তেলের দেখা তেমন মেলেনি।
সরবরাহ সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু বিক্রেতা ১৭৫ টাকা লিটারের তেল ১৯৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। তেলের দাম বেশি হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, রমজান মাসে সয়াবিন তেলের চাহিদা যখন বেড়ে যায় সরবরাহকারীরা তখন ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এটি মানুষের পকেট কাটার ধান্দা। এবার অন্যসব পণ্যের মুনাফা তেলে উঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রমজানের আরেকটি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ। এবছর ভরা মৌসুম হওয়ার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এছাড়া রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তায় ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। রমজান ঘিরে বাজারে মুড়ি ও খেজুরের চাহিদাও বাড়ে। বাজারে এখন প্রতি কেজি মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছরও এমন দাম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। তবে খেজুরের দাম কিছুটা কমছে। গত বছর রমজানের আগে পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। এবার সে তুলনায় খেজুরের বাজার স্থিতিশীল। প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর ২২০ থেকে ২৮০ টাকা এবং ভালো মানের খেজুর ৪৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে অন্যসব পণ্যের দামেও তেমন হেরফের দেখা যায়নি। স্বস্তি রয়েছে ডিম ও সবজির দামেও। বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক; এতে কমেছে দাম। বর্তমানে ধরনভেদে শিম ৩০-৪০ টাকা ও টমেটো ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন দাম রমজানে একটু বেড়েছে রমজানের আগে বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা ও লাউ ২০-৪০ টাকায় শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি এখন ১৫ থেকে ২০ টাকা। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও সহনশীল রয়েছে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৪০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।