রোজা রাখার উপকারিতা

- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
রোজায় হজমশক্তি বেড়ে যায়: দীর্ঘ সময় খাবার থেকে বিরত থাকার কারণে পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম পায়, লিভার থেকে এনজাইম নিঃসরণ হয়। এ ফলে শরীরের চর্বি ও কোলেস্টেরলকে ভেঙে বাইল এসিডে রুপান্তর হয়, যেটা পরিশেষে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া যে খাবার গুলো আগে হজম হয়নি সেগুলো হজম হয়ে পাকস্থলী ও অন্ত্র পরিস্কার হয়।
ওজন কমায়: টানা এক মাস রোজা রাখা ওজন কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। রোজা রাখলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরে ও ক্যালরি পোড়ে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার মধ্যে শ্বেত রক্তকনিকা অন্তর্ভুক্ত। রোজা রাখার মাধ্যমে নতুন শ্বেত রক্তকনিকার উৎপত্তির মাধ্যমে আরও বেশি কার্যকরী হয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও বলিষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় খাবার বিরতির পর ইফতার করলে শরীরে স্টিম সেল নামের কোষ পুনরুদ্ধার হয়। এতে লাল ও শ্বেত রক্ত কনিকা ও প্লাটিলেট থাকে, যে কারণেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
রক্তচাপ কমায়: সারাদিন না খাওয়ার কারণে শরীর লবণ গ্রহণ করে না এবং ইউরিন বা মূত্রের সঙ্গে লবণ বের হয়ে যায়। এর ফলে রোজা রাখার কারণে রক্তচাপ কমে।
শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে: রোজা রাখার কারণে শরীরে হিউম্যান গ্রোথ হরমোন নামে একটি হরমোন উৎপন্ন হয়, যা শরীরের চর্বি গলাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে: রোজা রাখার কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান হ্রাস পায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয় ফলে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও উন্নতি সাধন হয়।
শর্করার পরিমাণ কমায়: ইনসুলিন হল এমন একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা রোজা রাখলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে । এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: রোজা রাখলে মস্তিষ্ক আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে ও প্রোটিন উৎপাদন বাড়ায়। ফলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।
প্রদাহ কমায়: দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন-হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং আলেঝইমারসহ এমন অনেক ধরনের অসুখ রয়েছে যা থেকে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। নিয়মিত রোজা রাখলে প্রদাহের আশঙ্কা কমে এমন তথ্য মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: রোজা রাখলে ক্যালরি, চিনি ও লবণ কম পরিমাণে খাওয়া হয়, এতে করে মানসিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী হয়, স্ট্রেস কমে এবং মানসিক সচ্ছতা পাওয়া যায়।