শ্রীলঙ্কায় হাতির ধাক্কায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ৬ হাতির মৃত্যু

- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি-এএফপি থেকে সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট: শ্রীলঙ্কায় হাতির পালের ধাক্কা খেয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রেন ও হাতির পালের এ সংঘর্ষে যাত্রীদের কেউ আহত না হলেও ছয়টি হাতি মারা গেছে। এ ঘটনাকে দ্বীপদেশটির ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বন্যপ্রাণী দুর্ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছে পুলিশ। খবর এএফপি।
এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১০ মাইল) পূর্বে হাবারানার কাছে একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের কাছ দিয়ে চলার সময়, ভোরের আগে রেল লাইন পার হওয়া একটি হাতির পালকে ধাক্কা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে, তবে যাত্রীদের কেউ হতাহত হয়নি। তারা আরো জানায়, বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ সংঘর্ষে বেঁচে যাওয়া দুটি হাতির চিকিৎসা করছে।
শ্রীলঙ্কায় হাতি হত্যা বা হাতির ক্ষতি করা ফৌজদারি অপরাধ। দেশটিতে আনুমানিক ৭ হাজার বন্য হাতি রয়েছে। দেশটিতে হাতিকে জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলত, বৌদ্ধ সংস্কৃতিতে হাতির ধর্মীয় গুরুত্বের কারণেই বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়।
এর আগেও একই অঞ্চলে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি ট্রেনের ধাক্কায় একটি গর্ভবতী হাতি ও দুটি শাবক মারা গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ট্রেন চালকদের জন্য গতি সীমা নির্ধারণ করে দেয়, যাতে ট্রেন চলাচলের সময় হাতিদের আঘাতের মাত্রা কমানো সম্ভব হয়।
শ্রীলঙ্কায় মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্যপ্রাণীদের পুরনো আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার কারণে হাতিরা লোকালয়ে চলে আসছে। আর ক্ষুদ্র কৃষকরাও ফসল বাঁচাতে হাতিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী অ্যান্টন জয়কোডি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে হাতি ও মানুষের সংঘর্ষে ১৫০ জন মানুষ ও ৪৫০টি নিহত হয়েছে। এর আগের বছরে ১৪৫ জন মানুষ ও ৪৩৩টি হাতি মারা গিয়েছিল। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হাতি ও মানুষের সংঘর্ষ ক্রমেই বাড়ছে।
শুধু এই দুই বছরেই দ্বীপদেশটির মোট হাতির এক-দশমাংশ মারা গেছে।