মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি সংক্রান্ত জেরে ৩জনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কয়েকজন কৃষকের জমিতে আলু বীজের চারা গাছ ওঠেনি নরসিংদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ২ শত কলা গাছ কর্তন শরিকদের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন আমির হোসেন আমু শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অস্বাস্থ্যকর অনুমোদনহীন বেকারি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক নির্বাচনে জাল ভোট ও অনিয়মের অভিযোগ জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আদিতমারী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৯২ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪৮ বোতল স্কাফ সহ ০১ জন গ্রেফতার। নওগাঁর সাপাহারে মোকলেসুর রহমানের ২২ টি আম গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ বকশীগঞ্জে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত দুপচাঁচিয়ায় শাহাদত কোল্ড স্টোরেজে এমোনিয়া গ্যাস পাইপ লিকেজের ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাসেই ৮০টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়েছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নলকুপের মিটার চুরির ঘটনায় আরো দুইজন গ্রেফতার মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত১ বকশীগঞ্জে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ১৮২৯ সালে ৪ ঠা ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত দিবস কালাইয়ে ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা বগুড়ার – ৩ আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই বাদ পড়লেন সাতজন প্রার্থী দুপচাঁচিয়ায় মাদক বিক্রেতাসহ গ্রেফতার চার দুপচাঁচিয়ায় একটি খড় বোঝাই ট্রাকে আগুন

প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রকল্পের মেয়াদ বার বার সংশোধন ও টাকা বাড়ানোর ধরা বন্ধ করুন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২১২ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকল্পের মেয়াদ বার বার সংশোধন ও টাকা বাড়ানোর ধারা বন্ধ করুন। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) ডাকুন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কেন দেরি হচ্ছে তার কারণ অনুসন্ধান করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্পের বাস্তবায়নের বিলম্বের কারণ কী? ছোট খাট কাজ করতে কেন এত সময় লাগছে? পিডি কে? এ সময় পিডি উপস্থিত ছিলেন না। সব প্রকল্প যেন যথাসময়ে শেষ হয় সেই ব্যবস্থা নিন।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও প্রকলগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানান অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ চার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৫২৪ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার ৩৭৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জানতে চেয়েছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি হওয়ার কারণ কী? তিনি সরাসরি জানতে চেয়েছেন প্রকল্প পরিচালক কে? প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন না। সেখানকার সচিবও মনে হয় নতুন। তিনিও এর তেমন একটা উত্তর দেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। সব প্রকল্প এরকম দেরি হয় কেন? এটা কম টাকার প্রকল্প। এটা তো এতদিন লাগার কথা না। যখন প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা তখন আরো দুই বছর মেয়াদ বাড়াচ্ছেন কেন? এই সময় বাড়ানোর জন্য ৬৮ কোটি টাকাকে এখন ১০৯ কোটি টাকা কেন বানালেন? এটা গিয়ে পর্যালোচনা করুন। প্রকল্প পরিচালকদের ডাকুন। সব প্রকল্প যেন যথাসময়ে শেষ হয় সেই ব্যবস্থা নিন। কেন বিলম্ব হচ্ছে সেটার কারণ অনুসন্ধান করুন।
ড. শামসুল আলম জানান, চরখোলা-তুষাখালী মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি একটি পুরোনো সড়ক। এই প্রকল্পে এত সময় লাগছে। আবার টাকা বাড়ানো, মেয়াদ বাড়ানোর ধারা বন্ধ করুন। বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে হবে।
ড. আলম বলেন, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাখতে হবে দোতলা সড়ক নির্মাণ। কেননা এটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শর্ত পূরণ করে না। এছাড়া এ প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা ধরা ছিল পরামর্শক ব্যয়। সেটি বাড়ানোর দাবি করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ পরিপ্রেক্ষিতে আরো ১৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ২৫ কোটি টাকা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সড়ক তৈরিতে গাছ নষ্ট করা যাবে না। সড়ক মানসম্মতভাবে তৈরি করতে হবে। যাতে ভারি যানবাহন চলাচল করতে হবে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের সড়কের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। সে অনুযায়ী রাস্তা তৈরি করতে হবে। কেননা ওই এলাকায় এখন ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-ব্যয় বাড়িয়ে ১০৯ কোটি ৯১ লাখ টাকায় কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প, দুই হাজার ২৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প এবং এক হাজার ৫৭৫ কোটি ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ প্রকল্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150