বুধবার সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর শেষ তথা ৪১তম স্প্যান ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে এনে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেটি সেতুতে বসানো হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের।
তিনি জানান, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ শেষ তথ্য ৪১তম স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয়। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুরের পর রওনা দিতে হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্রেনটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছায়।
দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর শেষ স্প্যানটি বসানো হবে। স্প্যানটি বসানোর যাবতীয় ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হলেই পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।
পদ্মা সেতুর এ নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, নির্দিষ্ট শিডিউল অনুযায়ী তারা সব কাজ সম্পন্ন করেছেন। সেই মোতাবেক বাকি কাজ চলবে। সবকিছু সঠিকভাবেই সম্পন্ন হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেতুতে মোট পিলার ৪২টি। আর এতে স্প্যান বসবে ৪১টি।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। এর দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর কাঠামো নির্মিত হচ্ছে কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে। সেতুর ওপরের অংশ দিয়ে যানবাহন এবং নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। অন্যদিকে, চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন করছে নদী শাসনের কাজ।