বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাঙ্গাবালীতে এস এ স সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান “‘”জামালপুরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি-কে আটক করেছে র‍্যাব-১৪””” বাগমারায় কলেজ শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ গুইমারা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা,সভাপতি শুভ সাধারণ সম্পাদক সাচিং মারমা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুজব প্রতিরোধের বিকল্প নেই : বিভাগীয় কমিশনার রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক যুবক নিহত, আহত আরোহী বন্ধু দুপচাঁচিয়ায় বিট পুলিশিং সভা ও সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন উভ/ রাঙ্গাবালীতে মুজিব বর্ষের ঘর পেলেন ১১৮টি পরিবার, ভূমিহীনমুক্ত হলো উপজেলা রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে নবীন বরণ কচুয়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত: মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজ মিঠাপুকুর মসজিদ দুপচাঁচিয়া থানা অভিযানে তিন জুয়ারী গ্রেফতার শহীদ মিনার চত্ত্বরে পড়ে ছিল শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত আহত চার নওগাঁসহ সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন আরও ৪০ হাজার গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার!!! রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের গৃহ পেল ৭৫ ভূমিহীন তোমাদেরকেই এই দেশ এগিয়ে নিতে হবে: সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে রমজান উপলক্ষে ২০ টি পরিবারকে ১ মাসের খাবার বিতরণ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৫৫ বার পঠিত

Cinn অর্থনীতি ডেস্ক : সারাদেশে ২০২০ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত ও পুনঃনির্মাণ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা রাস্তা ও এইচবিবি রাস্তা মেরামত ও পুনঃনির্মাণ করা হবে। সেচ ও ড্রেনেজ অবকাঠামো, কালভার্ট স্থাপনা, পল্লি সড়ক নির্মাণ ও মেরামত করা হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চলেছে সরকার। বন্যা পুনর্বাসনে সরকারের নেওয়া আগাম কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে এবার হাওরে আগাম বন্যা ও উত্তরাঞ্চলে দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগ কাটিয়েছে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যাকবলিত ৩২টি জেলায় ঘরবাড়ি ও ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ হয়েছে কর্মহীন। আর তাদের জন্য কৃষি প্রণোদনাসহ নানা পদ্ধতিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় ৩৭টি জেলায় মোট ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে যাওয়া ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৮ হেক্টর। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৫১ জন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ২০২০-২১ অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় ১৫২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলায় ৪৯১টি উপজেলার ৪৫৯৭টি ইউনিয়ন এবং ১৪০টি পৌরসভায় মোট ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার প্রদান করা হবে। এ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ এর অধীনে থাকা সকল দফতর করোনাঝুঁকির মধ্যেও সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানিয়েছেন, কৃষকের পাশে থেকে উৎপাদন বাড়ানোর ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে বন্যার ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে। আর এসব কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রায় ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ২১৩ হেক্টর জমির আউশ ধান, ৭০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ৭ হাজার ৯১৮ হেক্টর জমির আমন বীজতলা। টাকার হিসাবে আউশ ধানে ৩৩৪ কোটি টাকা, আমনে ৩৮০ কোটি টাকা, সবজিতে ২৩৫ কোটি ও পাটে ক্ষতি হয়েছে ২১১ কোটি টাকার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩১ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে। এর আওতায় স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি বিভিন্ন শাকসবজি চাষের জন্য প্রায় ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার কৃষককে লালশাক, ডাঁটাশাক, পালংশাক, বরবটি, শিম, শশা ও লাউয়ের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কমিউনিটি ভিত্তিক বীজতলার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা, প্রায় ৭০ লাখ টাকার ভাসমান বেডে এবং ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপণের জন্য আমন ধানের চারা উৎপাদন ও বীজতলা তৈরি ও বিনামূল্যে বিতরণের কাজ চলছে। ওই বীজতলা থেকে চারা নিয়ে কৃষকরা আমন রোপণ করছেন।

এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যেসব এলাকায় আমন চাষ সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় ৫০ হাজার কৃষকের মাঝে প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকায় ৩৫ জেলায় ৫০ হাজার কৃষকের মাঝে প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার মাষকলাই বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, আরও প্রায় ৭৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন। এ অর্থ দিয়ে ৯ লাখ ২৯ হাজার ১৯৪ ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষককে গম, সরিষা, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী, খেসারি, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ইত্যাদি ফসল আবাদের জন্য বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে। সবজি-পুষ্টি বাগান স্থাপন কর্মসূচির আওতায় ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬৪ জেলায় মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৯২ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার দেওয়া হয়েছে। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150