হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর থেকেই সংগঠনটির একটি অংশ দাবি করে আসছে, ওই মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে এই অভিযোগে মামলাও দায়ের করা হয়। হেফাজতের বর্তমান আমির বাবুনগরীসহ শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীদের সমালোচনা করেছেন। এবার এই ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে হেফাজত। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের কার্যালয়ে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর ‘আল্লামা শফীকে হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ একটি মামলা দায়ের করেন শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সম্প্রতি ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে তোপের মুখে পড়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে। এছাড়া আরও ৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে এই হত্যা মামলায়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
মামলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের আমির বাবুনগরী বলেন, হুজুর (আল্লামা শফী) আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। যখন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে গাফিলতি করা হয়নি। এখন যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয় তাহলে তার মৃতদেহ কবর থেকে তোলার প্রয়োজন হবে! সেটা হবে সম্পূর্ণ সীমালঙ্ঘন এবং আল্লামা শফীর সঙ্গে রীতিমতো বেয়াদবি।