মোঃ মাসুদ রানা, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসুরহাট মুজিব কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ও বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নার্স শাহনাজ পারভিন প্রিয়তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি অটোরিকশা চালক মোঃ রুবেল হোসেন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার ৪ মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর রশিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অটোরিকশা চালক মোঃ রুবেল হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জমিন মাঝীর বাড়ীর মকবুল আহমেদ ও ফারুল আক্তারের পালিত পুত্র।
সূত্র মতে জান যায়,বেশ কিছু দিন ধরে রুবেলের ঐ নার্সের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি ছিল। ঘটনাচক্রে ২৭ ফেব্রুয়ারী প্রিয়তা তার কর্মস্থল বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালের ডিউটি শেষে নানার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য রুবেলের অটোরিকশায় চড়েন। গন্তব্যে পৌঁছার পর ভাড়া পরিশোধ করে বাড়ীতে ঢোকার আগে পেছন থেকে রুবেল তাকে ঝাপটে ধরে। পরে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে প্রিয়তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
৪ মার্চ শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খিসা। তিনি বলেন আমরা কয়েকদিন ধরে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রধান বা মূল আসামির কাছে পৌঁছাতে আমাদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে।আমরা আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড প্রার্থনা করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নূর নবী বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।২ মার্চ এ মামলায় মমিনুল হক ফারুক (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুর ১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইয়াছিন মোল্লা বাড়ীর পেছনে পরিত্যক্ত জমি থেকে শাহনাজ পারভিন প্রিয়তা নামের বসুরহাট মুজিব কলেজের অনার্স বর্ষের ছাত্রী ও বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নার্স এর মৃতদেহ উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
নিহত শাহনাজ পারভিন প্রিয়তা (২৬) নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আশ্রাফপুর গ্রামের নুর নবীর মেয়ে।