সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁর মহাদেবপুরে সিফাত নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু নওগাঁর পোরশায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনশৃংখলা বাহিনির ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কালাই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কালাইয়ে ইসমাইল নামের এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় রাত পোহালেই ভোট জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ব্র্যাক সেলপ কর্মসূচির সহায়তায় নিষ্পাপ শিশুটি ফিরে পেল তার বাবা মাকে ধামইরহাটে আদিবাসীদের সামাজিক অধিকার নিশ্চিতকরণ শীর্ষক সচেতনতামূলক সমাবেশ ৪৮ নওগাঁ ৩ আসনের সাংসদ সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবতী কৃষকের মাঝে দুটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা দুপচাঁচিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন -সভাপতি রুহুল -সম্পাদক জুয়েল জিয়ারতে কা’বা হজ্ব ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সৌজন্যে পবিত্র হজ্ব প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাইবান্ধায় চুড়িপট্টিতে আগুন লেগে ১০ দোকান পুড়ে ছাই প্রায় ৪ কুটি টাকার ক্ষতিসাধন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত কালাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ দিনব্যাপী সেরা কণ্ঠ জয়পুরহাট-২০২৪ ওমর স্কুলের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জারীগানে জয়পুরহাট জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব নওগাঁর বদলগাছি চঞ্চল কর মাদ্রাসার ছাত্র সাকিব হত্যার মামলার প্রধান আসামি আকবর গ্রেফতার বাকেরগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার নির্বাচনী অফিস, তৃণমূলে ক্ষোভ

দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
  • ৮ বার পঠিত

মোঃ শাহিন মিয়া # সহ সম্পাদক :

# দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে)। ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি মারা যান।

ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ রংপুর মহানগরীতে, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ও ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ফাতিহা পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলস কাজ করে গেছেন। পিতা আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা ময়জুন নেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।

গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি ও পীরগঞ্জ হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে ওয়াজেদ মিয়া ১৯৫২ সালে রংপুর জেলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন তিনি।

১৯৫৮ সালে ওয়াজেদ মিয়া রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ওয়াজেদ মিয়া ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবছরে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে, তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে পদায়ন করা হয়।

আজন্ম সৎ, নির্লোভ ও নিখাদ দেশপ্রেমিক এই পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

১৯৬৯ সালে ইতালির ট্রিয়েস্টের আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে অ্যাসোসিয়েটশিপ প্রদান করে। তিনি ওই গবেষণাকেন্দ্রে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৯ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ড. ওয়াজেদ মিয়া তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরবয়ে শহরের ‘আণবিক গবেষণা কেন্দ্রে’ আণবিক রিঅ্যাক্টর বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লির ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তার অনেক গবেষণামূলক ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়।

১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালের জন্য পরপর দু’বার বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওয়াজেদ মিয়া। ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি পরপর তিনবার ওই বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চার বছর তিনি বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে দুই বছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ সালে দুই বছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুটি দুই বছর মেয়াদকালের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি পরপর দুই বছর মেয়াদকালের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য। ১৯৯১-১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার দুই বছর মেয়াদকালের জন্য তিনি ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তিনি ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য।

ড. ওয়াজেদ মিয়া ঢাকার রংপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদকালের জন্য এই সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং ঢাকার বৃহত্তম রংপুর কল্যাণ সমিতি,

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150