দেশে আরও ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত দেশে সব মিলিয়ে ২৩ জনের শরীরে ওই ধরনটি পাওয়া গেল।
শুক্রবার রাতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন যে ১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের ওই ধরনটি শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জন। তাদের কারও ভারত ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তারা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হযেছেন। বাকী ৬ জনের ভারত ভ্রমণের ইতিহাস আছে।
করোনাভাইরাসের এ ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরনটি।
ইতোমধ্যে অন্তত চার ডজন দেশে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ধরনটি ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিকে চিহ্নিত করেছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ (ভিওসি) হিসেবে।
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার সাত দিনের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
এদিকে করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) বলছে যে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওই সাতজনের পাঁচজনই পুরুষ। পুরুষ পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠজনের বয়স ১৩ বছর। একজনের বয়স ৩০ বছর, আরেক জনের বয়স ২১ বছর। বাকি দুজন হলো ৫২ বছর বয়সী এবং ২৭ বছর বয়সী। বাকি দুজন নারী। নারী দুজনের বয়স একজনের ২৭ বছর, আরেকজনের ৩১ বছর।
উল্লেখ্য, দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পাঁচটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো: যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া।
এ জাতীয় আরো খবর..