মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম,
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন।
বুধবার (১৩জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নে
সড়কে বালুবাহী পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিব্বির আহমেদ (২৫) ও সোনাইমুড়ীর নান্দিয়া পাড়া বাজার এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা-নসিমন গাড়ির সংঘর্ষে আবুল হোসেন (৫৫) নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, শিব্বির আহমেদ (২৫) উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের মাওলানা আজিজুর রহমানের ছেলে এবং আবুল হোসেন (৫৫) উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে। শিব্বির লক্ষীপুর জেলার টুংচুর মাদ্রাসার কামিলের শিক্ষার্থী ছিল।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের সোনা চাকা বাজার সংলগ্ন সড়কে বালুবাহী পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিব্বির গুরুত্বর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয়রা পিকআপ ভ্যানটি আটক করলে পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। তবে ঘটনার পর পরই চালক পালিয়ে যায়।
এদিকে আজ দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নান্দিয়া পাড়া বাজারের সংলগ্ন ডুমুরিয়ার টেক এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও নসিমন গাড়ির সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরো এক সিএনজি আরোহী কুলসুম (২৫) আহত হয়।
নিহত আবুল হোসেন (৫৫) উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন,আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নান্দিয়া পাড়া বাজারের সংলগ্ন ডুমুরিয়ার টেক এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও নসিমন গাড়ির সংঘর্ষে আবুল হোসেন গুরুত্বর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় সুধারামা থানার পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।