বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মদপানে দুই দিনে ১২ জনের মৃত্যু হলো।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ১০টি মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ১২ জনের মধ্যে চার জনের মৃত্যু মদপানে হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
বিষাক্ত মদপানে সর্বশেষ মারা যাওয়া ৫ জন হলেন, বগুড়া শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়ার পাদুকা শ্রমিক প্রেমনাথ রবিদাস (৭০), বগুড়া সদরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার রিকশাচালক আব্দুল জলিল (৬৫), ফাঁপোড় পশ্চিমপাড়ার রিকশাচালক জুলফিকার আলী (৫৫), শাজাহানপুর উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামের মেহেদি হাসান (২৫) ও উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আহাদ (৩০)।
এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় সোমবার রাতে বগুড়া শহরের তিনটি হোমিও ব্যবসায়িকে দায়ী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাদের আটকে অভিযান শুরু করেছে। মামলার বাদী মদপানে অসুস্থ রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন। এই মামলায় বগুড়া শহরের পারুল হোমিও হল, খান হোমিও হল ও পুনম হোমিওসহ কয়েকজন হোমিও ব্যবসায়ীকে দায়ী করা হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম (বার) জানান, বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর বাকি যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের পরিবারসহ পুরো বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে জানা যাবে তাদের মৃত্যুর কারণ। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন অসুখেও মারা গেছেন।
এর আগে সোমবার জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায় মারা যায় পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়ার প্রেমনাথ রবিদাসের পুত্র সুমন রবিদাস (৩০) ও রবিদাসের চাচা রামনাথ রবিদাস (৬০), পুরান বগুড়া তিনমাথার জিলাদারপাড়ার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৬৫), ফুলবাড়ী দক্ষিণপাড়ার এলাকার দিনমজুর মো. পলাশ (৩৫), কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেন শ্রমিক সাজু প্রাং (৫৫) ও মোজাহার আলী (৭৫) ও কাহালু পৌর এলাকার অটোরিকশার চালক আবুল কালাম (৫০)।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ বলছে, মোজাহার আলীসহ দুইজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ কারণে ৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আর শাজাহানপুর থানা পুলিশ আরো দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, মদপানে অসুস্থ রঞ্জু মিয়ার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় কয়েকটি হোমিও হলের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে মদপানে অসুস্থ হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিববাটি এলাকার হোটেল শ্রমিক রঞ্জু মিয়া (৪০), ফুলবাড়ী এলাকার বিদ্যুতের মিস্ত্রি আইয়ুব আলী (৩৯) ও একই এলাকার পায়েল (৩৮)।