শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আসন্ন ২য় ধাপে,উপজেলা নির্বাচন-২০২৪ নওগাঁর পোরশায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলেল শুভেচ্ছা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা বীজ ও সার বিতরন দুপচাঁচিয়া নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ বাংলার যাত্রা সম্রাজ্ঞী জোৎস্না বিশ্বাসের শুভ জন্মদিন আজ : সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ : যুব শক্তি সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ঠান্ডা পানির শরবত ও স্যালাইন বিতরণ নওগাঁর পোরশায় ছাওড় ইউপির উম্মুক্ত বাজেট ঘোষণা দুপচাঁচিয়ার চৌমুহানী বাসস্ট্যান্ডে গণশৌচাগার না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি নওগাঁর পোরশায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে কাঠের ‘স’ মিল ভূষ্মিভূত চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর গণসংযোগ নওগাঁ সরকারি খাদ্যগুদামের চাল ছয় নয় করার অপরাধে দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা ১লা মে, আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষেরঅধিকার আদায়ের দিন নওগাঁ প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে কৃষকের মৃত্যু নওগাঁ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান চন্দ্র রায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন নওগাঁ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত নওগাঁর ধামইরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহার আলীর গণজোয়ার বিজয়ের পথে জনপ্রিয় সোহেল রানা ও অনজুয়ারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিশ্ব আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  দুপচাঁচিয়ায় গৃহ নির্মাণ শ্রমিক পরিষদের মহান মে দিবস উদযাপন নলডাঙ্গা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মিয়াজাকি বা ’সূর্যডিম আম’ সবচেয়ে দামি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ জুন, ২০২১
  • ২৩২ বার পঠিত

Cinn ডেস্ক ::

সূর্যডিম বা মিয়াজাকি হলো জাপানিজ আম। বিশ্ব বাজারে এটি ‘রেড ম্যাংগো’ নামে পরিচিত। যা বর্তমানে নোয়াল ফার্ম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের নাম মিয়াজাকি বা ‘সূর্যডিম’ আম। পুষ্টিসমৃদ্ধ আমের এই জাতের বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে উৎপাদন।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। আমটির স্বাদ অন্য আমের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। আমটি খেতে খুবই মিষ্টি। আমটির গড় ওজন প্রায় ৭০০ গ্রামের মতো।  এর দাম প্রায় ৭০ ডলার বা ৬ হাজার টাকা।

সে হিসেবে প্রতি ১০ গ্রাম আমের দাম ১ ডলারের মতো।

চাষ পদ্ধতি: আমটি স্বাদের চেয়ে চাষ পদ্ধতির কারণে বেশি দামি। সূর্যডিম আমটির মজাদার চাষ পদ্ধতি হচ্ছে-

  • একটি গাছের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি ব্যবহার করা হয় (টবের মতো)।
  • পুরো বাগানকে স্বচ্ছ ছাউনি বা অফসেড দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
  • মুকুল্গুলো মৌমাছি দ্বারা পরাগায়ন হয়ে থাকে।
  • একটি মুকুলে মাত্র একটি আম রেখে বাকি আমগুলো ছাঁটাই করা হয়।
  • আম পরিপক্ক হলে প্রতিটি আমকে উপরের ছাউনির সাথে বেঁধে রাখা হয়।
  • একটি নেট ব্যাগের মধ্যে আমটি আলতোভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
  • আমটি ন্যাচারালি একা একা পাকে।
  • আমটি মাটিতে না পড়ে অক্ষত অবস্থায় ঝুলন্ত নেট ব্যাগের মধ্যে পড়ে।
  • মাটির স্পর্শ ছাড়াই আমটি বাজারজাত করা হয়।

 

জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলের এ আম প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন খাগড়াছড়ির হ্লাশিমং চৌধুরী। জেলার মহালছড়ি উপজেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ৬০ শতক বাগানে মিয়াজাকি প্রজাতির ১২০টি চারা লাগিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফলন তুলেছেন সফল এ আম চাষি। প্রতিকেজি এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করে এবার ১০ লাখ টাকার সূর্যডিম আম বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জাপানের বিশেষ এই আম দেশটির সরকার ব্রিটিশ রানী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের উপহার দেয়। গণমাধ্যমের সূত্র মতে, বিশ্ববাজারে একটি মিয়াজাকির দাম প্রায় ৭০ ডলার বা ছয় হাজার টাকা। একটি আমের গড় ওজন প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম। অর্থাৎ প্রতি ১০ গ্রাম আমের দাম এক ডলারের মতো।

সরেজমিনে ধুমনিঘাট এলাকার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢালুর গাছে ঝুলছে লাল লাল আম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু কিছু গাছে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাকিং পদ্ধতি। মুকুল আসা থেকে ফলন তোলা পর্যন্ত আমের যত্ন নেওয়ায় কোনও কমতি ছিল না হ্লাশিমংয়ের। তাই অন্যান্য বাগানির চেয়ে তার ফলের চাহিদা ও গুণগতমান অনেক ভালো।

পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকি আমের প্রথম চাষও হয় তার হাত ধরে। জানা যায়, জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে প্রথম চাষাবাদ হয় এ আমের। তাই ওই অঞ্চলের নামানুসারে এর নাম হয় মিয়াজাকি ম্যাংগো। বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে এটিকে সূর্য ডিম বা লাল আমও বলা হয়।বিশ্বের অন্যান্য আমের চেয়ে এ আমের বাজারমূল্য যেমন বেশি, তেমনি পুষ্টিগুণও অনেক।

হ্লাশিমং চৌধুরী বলেন, ভারতের পুনে থেকে ২০১৭ সালে মিয়াজাকি আমের মাতৃচারা সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর তার বাগানে কলম চারার মাধ্যমে ১২০টি চারা করেন। ২০১৯ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে লাগানো মিয়াজাকি বাগানে ফলন আসতে থাকে। ২০২০ সালেও ভালো ফলন হয়। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ মৌসুমে ফলন কম হলেও দাম পেয়ে খুশি তিনি। প্রতি কেজি আম বিক্রি করছেন এক হাজার টাকায়। এবার কম হলেও এক টনের মতো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। যা থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হবে বলে জানান তিনি।

মিয়াজাকি আমের চাষ সম্প্রসারণ সম্পর্কে হ্লাশিমং চৌধুরী আরও বলেন, এ আমের যে বাজারমূল্য ও চাহিদা, তা দিন দিন বাড়বে। উচ্চমূল্যের এ ফলের চারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা তার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাতৃচারা কলমের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, মিয়াজাকি আমের চাষ খাগড়াছড়িতে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে হর্টিকালচার সেন্টারের নার্সারিতে মাতৃচারা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। যদি এটি করা যায়, তাহলে এ অঞ্চলের ফলদ বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের জীবন মান পাল্টে যাবে। কারণ মিয়াজাকি আমের উচ্চমূল্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ কদর রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150