মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁ পুকুর থেকে মাটি খননের সময় কষ্টিপাথরের একটি লক্ষী নারায়ন মূর্তি উদ্ধার নওগাঁর মহাদেবপুরে সিফাত নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু নওগাঁর পোরশায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনশৃংখলা বাহিনির ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কালাই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কালাইয়ে ইসমাইল নামের এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় রাত পোহালেই ভোট জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ব্র্যাক সেলপ কর্মসূচির সহায়তায় নিষ্পাপ শিশুটি ফিরে পেল তার বাবা মাকে ধামইরহাটে আদিবাসীদের সামাজিক অধিকার নিশ্চিতকরণ শীর্ষক সচেতনতামূলক সমাবেশ ৪৮ নওগাঁ ৩ আসনের সাংসদ সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবতী কৃষকের মাঝে দুটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা দুপচাঁচিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন -সভাপতি রুহুল -সম্পাদক জুয়েল জিয়ারতে কা’বা হজ্ব ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সৌজন্যে পবিত্র হজ্ব প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাইবান্ধায় চুড়িপট্টিতে আগুন লেগে ১০ দোকান পুড়ে ছাই প্রায় ৪ কুটি টাকার ক্ষতিসাধন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত কালাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ দিনব্যাপী সেরা কণ্ঠ জয়পুরহাট-২০২৪ ওমর স্কুলের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জারীগানে জয়পুরহাট জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব নওগাঁর বদলগাছি চঞ্চল কর মাদ্রাসার ছাত্র সাকিব হত্যার মামলার প্রধান আসামি আকবর গ্রেফতার

স্বামী- কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্ত্রীর মামলা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:-

চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া থানার,বড় হাতিয়া,গ্রামের মাতা-রাজিয়া বেগম, পিতা- শাহ আলম,স্বামী-মো: আবু তাহের’র স্ত্রী
জয়নাব বেগম (৩৪), বর্তমানে- চট্টগ্রাম জেলার,
হালিশহর থানার,আর্টিলারী রোড,নিউ আই ব্লক, বাড়ী নং- ১১, ৫ম তলায় নিয়মিত বসবাস করে আসছিলেন- বাদীনি।

চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া থানার,চুনতি গ্রামের মাতা- মোস্তফা বেগম,পিতা- মোঃ ইব্রাহিম’র পুত্র মো: আবু তাহের(অব:), চাকরীর ঠিকানা-চট্টগ্রাম জেলার,ইপিজেড থানার, বা.নৌজা ঈশা খান, এফ আই এস, কক্ষ নং- ০১। বর্তমানে-চট্টগ্রাম জেলার, হালিশহর থানার, আর্টিলারী রোড,নিউ আই ব্লক, বাড়ী নং- ১১, ৫ম তলায় নিয়মিত বসবাস- আসামী।

বিবরণে:-মামলার বাদীনি জয়নাব বেগম জানায়, আমার সহিত আসামীর বিগত ১৫ এপ্রিল ২০০৮ খ্রি: তারিখে ইসলামী শরা- শরীয়তের বিধান মোতাবেক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দেনমোহর ধার্য্যে এবং রেজিষ্ট্রারী কাবিননামা মূলে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর আমার গর্ভে ও আসামীর ঔরষে ৪ (চার) টি সন্তান যথাক্রমে (১) তাসমিয়া জিহান (বয়স- ১৫ বছর), (২) তানজিম মাহমুদ (বয়স- ১১ বছর), (৩) তাসনুভা জাহান (বয়স- ৬ বছর) এবং (৪) তাইয়্যেবা মুসকান (বয়স- ১ বছর ৭ মাস) জন্মগ্রহণ করেন।

প্রথম ঘটনার তারিখ ও সময়: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকা। ১ম ঘটনার স্থান: হালিশহর থানাধীন আসামীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়া বাসা। সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময়: ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রি: বিকাল অনুমান ৪.৩০ ঘটিকা। সর্বশেষ ঘটনার স্থানঃ হালিশহর থানাধীন আসামীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়া বাসা। জয়নাব বেগম জানায় যে,আমি একজন সহজ, সরল, শান্ত, ভদ্র, নম্র ও আইন প্রিয় শিক্ষিত মহিলা। দেশের প্রচলিত আইন কানুন অত্যান্ত শ্রদ্ধার সহিত মানিয়া চলি।
আমার স্বামী মোঃ আবু তাহের জুলুমবাজ, পরধনলোভী, নারীলোভী, নারী নির্যাতনকারী, যৌতুক লোভী প্রকৃতির লোক।
আমার বিবাহের পর জানিতে পারে যে, আসামী একজন পরনারী আসক্ত। আমি পরনারী হইতে আসামীকে বহু চেষ্টা করিয়াও বিরত রাখিতে পারি নাই। আসামী কথায় কথায় আমার নিকট যৌতুক দাবী এবং যৌতুকের দাবীতে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। যৌতুক লোভী আসামী তাহার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করিবার জন্য প্রায় সময় আমাকে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করিয়া আসিতে থাকে। আমি তাহাতে প্রতিবাদ করিলে আসামী আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করিত। উক্ত বিষয় নিয়া আমার ও আসামীর মধ্যে একাধিকবার শালিস-বিচার হইলেও আসামী কোন শালিস-বিচার মানেনা।

ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ গত ২২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ঘটনাস্থলে আসামী আমার নিকট ব্যবসা করিবার জন্য ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা যৌতুক চাহিলে আমি কোন যৌতুকের টাকা দিতে পারিবোনা বলিয়া অস্বীকার করায় আসামী যৌতুকের দাবীতে আমাকে লাথি, কিল, ঘুষি ও চুলের মুঠি ধরিয়া আঘাত করিতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গিয়া উক্ত ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায়
সজোরে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমার কপালের বাম চোখের উপরে লাগিয়া মারাত্মক
রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। যাহাতে দুইটি সেলাই হয়। আসামী আমাকে একই কায়দায় তাহার হাতে থাকা কাঁচের ভাঙ্গা গ্লাস দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় সজোরে আঘাত করিলে আমি আত্মরক্ষার্থে মাথা সরাইলে উক্ত আঘাত আমার ঘাড়ে লেগে মারাতাক রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। যাহাতে একটি সেলাই হয়। উক্ত বিষয়ে আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ০২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হইয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। উক্ত বিষয় নিয়া আমি একাধিক সংস্থায় অভিযোগ করিয়াও আসামীর অসহযোগীতার কারণে কোন প্রতিকার পাই নাই। সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: বিকাল অনুমান ৪.৩০ ঘটিকার সময় তাহার বাসায় সাংসারিক কাজ করাকালীন সময়ে আসামী আমাকে বলে যে, “তুই কেন আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেছিস? তুই আমাকে ব্যবসা করিবার জন্য ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ)
টাকা যৌতুক দিবি নয়তো তোর সন্তানদের নিয়া আমার বাসা হইতে এখনিই বের হয়ে যাবি”
বলিলে আমি যৌতুকের টাকা আনিতে পারিবে না বলার সাথেসাথে আসামী পুণরায় আমাকে
হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া মারাত্মকভাবে আহত করে চুলের মুঠি ধরিয়া টেনেহিচড়ে মাটিতে ফেলে সেলাইকৃত জখমের উপর মারাত্মক জখম করিলে আমার ক্ষতস্থার হইতে প্রচুর পরিমাণ রক্ত ঝড়িতে থাকে।

আমি আসামীর নির্যাতন সহ্য করিতে না পারিয়া যন্ত্রনায় চিৎকার করিতে থাকিলে আমার
সন্তানগণ আমার বাবা-মাকে ফোন করিলে আমার বাবা-মা ও পুলিশ আসিয়া আমাকে আসামীর কবল হইতে উদ্ধার করে। উক্ত সময়ে আসামী বলে যে, যৌতুকের ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা না দিলে তোর সাথে আর সংসার করিবনা। আরো বেশি টাকা যৌতুক নিয়া অন্যত্র বিবাহ করিব বলিয়া হুমকি প্রদান করে আসামী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বর্তমানে আসামী আমাকে হুমকির দিয়া বলিতেছে যে, যৌতুকের ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা না দিলে আমাকে আসামীর জওজিয়তে রাখিবেনা এবং আমি আসামীর বিরুদ্ধে কোন সংস্থায় মামলা মোকদ্দমা দায়ের করিলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে জানে খতম করিয়া ফেলিবে। আমি গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রি:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হইয়া ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি: পর্যন্ত বি-২ নং ওয়ার্ডে ও.সি.সিতে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়
থানায় মামলা দায়ের করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে আসিয়া মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করে। ঘটনার বিষয় লইয়া স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইলে তাহারা আপোষ করিবে বলায় আসামী পরবর্তীতে তাহা না মানায় আমি, মাননীয়,
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬, আদালত, চট্টগ্রাম গত- ০৭ মার্চ ২০২৪ খ্রি:।
আমার স্বামীর বিরুদ্ধে, (ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১ (খ) ধারা।) ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করিলে, বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগ খানা আমলে নিয়ে এফ আই আর করে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করার জন্য সূত্র: আদালত মামলা নং ৩৩/২০২৪ খ্রি: অফিসার ইনচার্জ, হালিশহর থানাকে নির্দেশ দিয়ে প্রেরন করিলে, অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ খানা প্রাপ্ত হইয়া হালিশহর থানার মামলা নং ২২/ তারিখ ১৯ মার্চ ২০২৪ খ্রি: ধারা: ১১(খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)।

মামলা রেকর্ড করার পর বিভিন্ন সময় আমাকে থানায় ডেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছেন, সাথে সাথে আমাকে হয়রানিও করা হয়েছে, কিন্তু আসামী আটক না করে তালবাহানা করিতেছে, আমার বিশ্বাস হালিশহর থানার পুলিশ আসামী গ্রেপ্তার করিবে না।

এ বিষয় আমি মাননীয়, প্রধান মন্ত্রী মহোদয়, স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক,ও স্হানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150