বিয়ের সব ঠিকঠাক। বরসহ নিমন্ত্রিত অতিথিও চলে এসেছেন কনের বাড়িতে। এমনকি ছাঁদনাতলায় বসে পড়েছেন বর-কনে। আনন্দ উৎসবে চলছে সব আয়োজন। আর সেখানেই ঘটে গেল অঘটন।
বরের চোখে সমস্যা, ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির কারণে হিন্দি পত্রিকা পড়তে পারেননি বর। আর এতেই ক্ষেপে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দিলেন কনে। শুধু তাই নয় মামলাও ঠুকে দিলেন বর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
আর এ অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আয়োরাইয়া জেলায়। কনের দাবি, বর হিন্দি সংবাদপত্র পড়তে পারেননি। যদিও বর রীতিমত শিক্ষিত বলেই জানা গেছে।
জি নিউজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের আয়োরাইয়া জেলায় আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানের। নিয়ন্ত্রিত অতিথিরা সবাই চলে এসেছিল। বিয়ের আসরে বর-কনে বসেও পড়েছিলেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর অল্প সময় বাকি ছিল।
এ সময় কনে লক্ষ্য করে বরের চোখে চশমা। বিয়ের কথাবার্তা চলার সময় তারা বরের ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির ব্যাপারটি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। সে সময় বর স্টাইল করে ফ্যাশনের জন্য চশমা পরেছিলেন বলে ধারণা করেছিলেন তারা।
পরে বরের পরিবারের সদস্যকে চশমার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, বর চশমা ছাড়া কিছুই দেখতে পান না। কনে তখন দৃষ্টিশক্তির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বরকে একটা হিন্দি পত্রিকা পড়তে দেন। কিন্তু চশমা ছাড়া একদমই দেখতে পান না বর।
ব্যস, রেগেমেগে বিয়ে ভেঙে দেন ওই তরুণী। এমনকি বরের চশমা পরার বিষয়টি গোপন করায় মামলাও করেছেন কনের পরিবার।
নীতিগত কারণে বর-কনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনা করের তাও জানা যায়নি।