শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মনোহরদীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ও ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে উপজেলা সেচ্ছাসেবী পরিষদের অর্থায়নে অসহায় পরিবারের হাতে নির্মাণাধীন ঘরের চাবি হস্তান্তর কালাইয়ে হয়েছে রহমতের বৃষ্টি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ মাগুরায় প্রতিবেশীর হামলায় আহত ৪ চাঁদাবাজি,ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি ২ নেতাকে শোকোজ ঘোষণা নওগাঁ দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী সঞ্জয় কুমার নিহত দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আসন্ন ২য় ধাপে,উপজেলা নির্বাচন-২০২৪ নওগাঁর পোরশায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলেল শুভেচ্ছা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা বীজ ও সার বিতরন দুপচাঁচিয়া নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ বাংলার যাত্রা সম্রাজ্ঞী জোৎস্না বিশ্বাসের শুভ জন্মদিন আজ : সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ : যুব শক্তি সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ঠান্ডা পানির শরবত ও স্যালাইন বিতরণ নওগাঁর পোরশায় ছাওড় ইউপির উম্মুক্ত বাজেট ঘোষণা দুপচাঁচিয়ার চৌমুহানী বাসস্ট্যান্ডে গণশৌচাগার না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি নওগাঁর পোরশায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে কাঠের ‘স’ মিল ভূষ্মিভূত

মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজ মিঠাপুকুর মসজিদ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৯ বার পঠিত

মাটি মামুন রংপুর।

ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজ মিঠাপুকুর মসজিদ।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা সদর থেকে এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে এশিয়ান হাইওয়ের পাশেই মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন, ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজ মিঠাপুকুর মসজিদ বা মিঠাপুকুর বড় মসজিদটির অবস্থান উপজেলার প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
প্রায় ২১২ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনার এক অনন্য নির্দশন।

উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মসজিদটি মিঠাপুকুর মসজিদ নামে পরিচিত।
আবার অনেকেই একে মিঠাপুকুর বড় মসজিদ আবার অনেকে মিঠাপুকুর তিন কাতার মসজিদ বলে।
১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় ৬৯৫টি মসজিদ রয়েছে।
এর মধ্যে দর্শনার্থীদের কাছে বেশ সমাদৃত এই মসজিদ।
সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে আছে মেঠোপথ।
পাখির চোখে রঙ-তুলিতে আঁকা রুপসী বাংলা।
পিচ-ঢালা সড়কের পাশেই বিস্তৃত ফসলের মাঠের মাঝে সরু মেঠোপথ ধরে হাঁটতেই চোখে পড়বে মসজিদটি।

মসজিদের প্রবেশ পথে লেখা তথ্য থেকে জানা যায়, হিজরি ১২২৬ মোতাবেক ১২১৭ বঙ্গাব্দ এবং ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে জনৈক শেখ মোহাম্মদ মোয়াজ্জমের প্র-পুত্র শেখ মুহাম্মদ আসিনের বাবা শেখ মোহাম্মদ সাবের কর্তৃক এটি নির্মিত হয়। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি মোঘল আমলের শেষ দিকে নির্মিত হয়।

সেখানে দীর্ঘ প্রায় ২৫ একর আয়তনের একটি জলাশয় আছে। এটি প্রাক মুসলিম আমলে তৈরি তাতে সন্দেহ নেই।
এ জলাশয় বা দিঘির নামানুসারে স্থানের নামকরণ হয়েছে মিঠাপুকুর। মসজিদটিও জলাশয় সংলগ্ন।

মসজিদের চারপাশে রয়েছে সুরম্য গেটসহ অনেক পুরোনো বাউন্ডারি দেয়াল।
দেয়ালের অভ্যন্তরে রয়েছে খোলা আঙিনা।
মসজিদের চার কোনায় পিলারের ওপর রয়েছে চারটি মিনার। মিনারগুলো আট কোনাকারে নির্মিত।
মিনারগুলো ছাদের কিছু ওপরে উঠে গম্বুজ আকৃতিতে শেষ হয়েছে।

মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে কারুকার্য খচিত তিনটি প্রবেশদ্বার।
মসজিদের মাঝের প্রবেশদ্বারের দু’পাশের পিলারের ওপরও রয়েছে ছোট দুটি মিনার।
সামনের অংশে পোড়া মাটির কারুকার্য মসজিদটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। মসজিদের ভেতরে সামনের দরজা বরাবর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব।

চারপাশের কৃষি জমি বেষ্টিত মসজিদটি অনন্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মসজিদটির প্রবেশদ্বারেও রয়েছে কারুকাজের ছাপ।
মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো কন্দকারে নির্মিত সুবিশাল তিনটি গম্বুজ।
গোলাকার গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত মসজিদটির প্রথম প্রবেশদ্বার বাংলাদেশি স্থানীয় সংস্কৃতির আদলে তৈরি। মূল দরজা দিয়ে ঢুকে পাওয়া যাবে সুন্দর একটি উঠান বা বারান্দা।
ফ্যাকাসে লালচে ইট রঙে গড়া মসজিদটি যে কারও ভালো লাগবে।

এখানে আসতে হলে প্রথমে বাস বা অটোরিকশা করে মিঠাপুকুর গড়েরমাথা নামক জায়গায় আসতে হবে।
এরপর সেখান থেকে পশ্চিম দিকে চলে গেছে এশিয়ান হাইওয়ে।
বিরামপুর ও দিনাজপুর মহাসড়ক ধরে হেঁটে গেলে ৫ মিনিট আর রিকশায় গেলে ২ মিনিটেই যেতে পারবেন মিঠাপুকুর বড় মসজিদে।
রাস্তা থেকেই বাম দিকে বা দক্ষিণ দিকে তাকালেই চোখে পড়বে মেঠোপথ বেয়ে সবুজের বুকে ভাসমান এই মসজিদটি।

প্রাচীন মসজিদটিতে এরই মধ্যে সংস্কারের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক(৬৫) তিনি আরও বলেন, সরকারি অর্থায়নে মসজিদটির মূল নকশা, আকার ও বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। এ মসজিদটি কারও মতে ১৮০২ খ্রিষ্টাব্দে আবার কেউ কেউ বলেছে এরও আগে এটি নির্মিত হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত এ দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি প্রাচীনকাল থেকে মিঠাপুকুরকে ইসলামী জনপদ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে।
আর এই ঐতিহাসিক মসজিদকে ঘিরে প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থান থেকে দর্শনার্থী ও পর্যটকের আগমন ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150