বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়া নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ বাংলার যাত্রা সম্রাজ্ঞী জোৎস্না বিশ্বাসের শুভ জন্মদিন আজ : সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ : যুব শক্তি সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ঠান্ডা পানির শরবত ও স্যালাইন বিতরণ নওগাঁর পোরশায় ছাওড় ইউপির উম্মুক্ত বাজেট ঘোষণা দুপচাঁচিয়ার চৌমুহানী বাসস্ট্যান্ডে গণশৌচাগার না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি নওগাঁর পোরশায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে কাঠের ‘স’ মিল ভূষ্মিভূত চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর গণসংযোগ নওগাঁ সরকারি খাদ্যগুদামের চাল ছয় নয় করার অপরাধে দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা ১লা মে, আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষেরঅধিকার আদায়ের দিন নওগাঁ প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে কৃষকের মৃত্যু নওগাঁ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান চন্দ্র রায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন নওগাঁ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত নওগাঁর ধামইরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহার আলীর গণজোয়ার বিজয়ের পথে জনপ্রিয় সোহেল রানা ও অনজুয়ারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিশ্ব আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  দুপচাঁচিয়ায় গৃহ নির্মাণ শ্রমিক পরিষদের মহান মে দিবস উদযাপন নলডাঙ্গা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালাইয়ে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত কালাইয়ে ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত দুপচাঁচিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

প্রথম বারের মত চালু হচ্ছে ইসলামি বন্ড

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৭২ বার পঠিত

গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ব্যাংকিং সিস্টেমে সরকার প্রথমবারের মতো ইসলামি বন্ড বা সুকুক চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এটি চালু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রথম দফায় ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড চালু করা হবে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে

এখন কথা হলো- ইসলামি বন্ড কী? দেশে সাধারণত দুই ধরনের সরকারি বন্ড প্রচলিত আছে। এর মধ্যে একটি ট্রেজারি বিল এবং অন্যটি ট্রেজারি বন্ড। ট্রেজারি বিলের মেয়াদ খুবই কম। অপরদিকে, ট্রেজারি বন্ড দুই থেকে ১০ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। আর ব্যক্তি পর্যায়ে সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় হলো ‘সঞ্চয়পত্র এবং প্রাইজবন্ড’।

এগুলোর মধ্যে আবার ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড অন্যতম। একই রকমভাবে ইসলামি বন্ড বা সুকুকও সরকারি বন্ডের কাতারে পড়ে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, প্রচলিত ট্রেজারি বন্ড সরকার ইস্যু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে এর কেনা-বেচা ও সুদের হার নির্ধারিত হয় এবং তালিকাভুক্ত যে কোনো প্রতিষ্ঠান এর নিলামে অংশ নিতে পারে। অর্থাৎ সুদের হার আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। কিন্তু ইসলামি বন্ড সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে সুদ নেই। বরং ব্যাংকের লাভ্যাংশের একটি অংশ মুনাফা হিসেবে দেয়া হয়। সেটা লাভ্যাংশের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে কম-বেশি হতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দেশের মোট সঞ্চয় ও বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশই প্রচলিত ব্যবস্থার মতো সুদ গ্রহণ বা প্রদান করতে আগ্রহী নন। অন্তত ২৮ শতাংশ গ্রাহক ইসলামি ধারায় বিনিয়োগ করতে চান। তাই সরকারের এ সিদ্ধান্ত।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার রূপ রতন পাইন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ইসলামি বন্ড চালু হলে সেটি সরকারের অর্থ সংগ্রহের নতুন একটি উৎস হবে। পরবর্তীতে সেই অর্থ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে। যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকসমূহ এই বন্ড নিতে পারবে।

‘ইসলামি বন্ডে একজন বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। ছয় মাস অন্তর অন্তর মুনাফা দেয়া হবে। তবে সর্বোচ্চ কত বিনিয়োগ করা যাবে, সে বিষয়ে কোনো সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।’ ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ হারে মুনাফা দেয়া হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা শেখ বলেন, ইসলামি বন্ডে প্রচলিত বন্ড বা সঞ্চয় স্কিমের মতো সুদের ব্যবহার থাকবে না। এখানে মুনাফার হার আগে থেকে নির্ধারণের সুযোগ নেই। ইসলামি রীতি অনুযায়ী তা বাৎসরিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের আয়-ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে।

আরো সহজ ভাষায় বললে, প্রচলিত বন্ড বা সঞ্চয়পত্রে সুদের হার নির্দিষ্ট থাকে। বিনিয়োগকারী যে অর্থ বিনিয়োগ করেন, সেটির ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে তিনি অর্থ বা মুনাফা বা সুদ পান। কিন্তু ইসলামি বন্ডে নির্দিষ্ট হারে কোনো অর্থ দেয়া হয় না। নির্দিষ্ট সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের আয় ও মুনাফা যখন যেমন হবে, তার ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারী মুনাফা পাবেন। এটি অংশীদারিত্বের মতো। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সুদের কোনো সুযোগ নেই, যোগ করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150