শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক পেপার বিক্রেতার মৃত্যু মনোহরদীতে দোকান মালিকের কাছে ভাড়াটে পক্ষের ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের সদস্য মোঃ মতিয়র ০৬ ওয়ার্ড কে মডেল হিসাবে গড়তে চায় কালাইয়ের ঝামুটপুর বানিহারা হাতিয়র এলাকাবাসীর সালাতুল ইস্তিসকার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেড স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এর গর্বিত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যর জমি গভীর রাতে দখল স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলা নওগাঁয় প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি খাস জমির গাছ কেটে আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই নওগাঁর নোচনাহার বাজারে স্টেশনারি ও কাপড়ের ৩ টি দোকান আগুনে পুড়ে ভূষ্মিভত নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে একই পরিবারের ৪ ভাই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধী মধুপুরে ইসতিসকার সালাত ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর ধামইরহাটে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষককের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুপচাঁচিয়াতে তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রিন ভয়েসের ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নওগাঁ সেনা সদস্যকে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গাইবান্ধার পলাশবা‌ড়ি‌তে মিথ্যা অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে এক সংবাদ স‌ম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে মধুপুর উপজেলা ইয়াকুব আলী নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত ৪৮ নওগাঁ ৩ আসনের এমপির মা,সবিতা চক্রবর্তীর দশম প্রণয় দিবস পালিত

করোনাকালে দেশে ফিরেছে ২ লাখ ৭২ হাজার প্রবাসী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৫ বার পঠিত

সেতু আক্তার:- করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেশে ফিরছেন প্রবাসী কর্মীরা। প্রতিদিনই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসছেন তারা। চলতি বছরের গত ১ এপ্রিল থেকে ১১ নবেম্বর পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৫ জনেরও বেশি প্রবাসী কর্মীরা দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ১৫২ জন এবং নারী ৩১ হাজার ৩৩ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই (৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ) ফিরেছেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তাদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্টের মাধ্যমে ফিরেছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৪ জন এবং আউটপাসের মাধ্যমে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৭৮১ জন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ফিরে আসা শ্রমিকদের অধিকাংশই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন প্রবাসে। এছাড়া, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কাজ না থাকা, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, প্রতারিত হওয়া এবং ভিসার মেয়াদ শেষ বা আকামা (কাজের অনুমতি) না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ফেরত আসতে হয়েছে তাদের।
এদের মধ্যে অনেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে যেতে পারবেন জানালেও বেশির ভাগেরই ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে সবচেয়ে বেশি ফিরেছেন প্রবাসী কর্মীরা। এই দুটি দেশ থেকে ফিরে এসেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৫ জন (৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ)। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
১ এপ্রিল থেকে ১১ নবেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী কর্মীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট ২৮টিসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭৬ হাজার ৯২২ কর্মী সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন (পুরুষ ৬৩ হাজার ৬৫ জন ও নারী ১৩ হাজার ২৭০ জন)।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৭১ হাজার ৯০৩ জন (পুরুষ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন ও নারী ৬ হাজার ২১৪ জন) ফেরত আসেন।
এসব প্রবাসী কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের পুনরায় ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলে ফেরত পাঠিয়েছে নিয়োগকর্তারা।
অন্যান্য দেশ থেকে যতজন ফিরলেন
চলমান মহামারিতে মালদ্বীপ থেকে ১৩ হাজার ২২৪ জন (পুরুষ ১৩ হাজার ১০০ ও নারী ১৪৪ জন) দেশে ফেরত এসেছেন। দেশটি পর্যটন নির্ভর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেখানে কাজ নেই। তাই তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছে নিয়োগকর্তারা।
এই সময়ের মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন ৫ হাজার ৩১১জন (পুরুষ ৫ হাজার ২৪৫ ও নারী ৬৬ জন)। চুক্তির মেয়াদ নবায়ন না হওয়ার কারণে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন বলে জানা যা।
ওমান থেকে এসেছেন ১৬ হাজার ৯৫ জন (পুরুষ ১৩ হাজার ৯৪৮ জন ও নারী ২ হাজার ১৪৭ জন)। তারা সবাই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন।
কুয়েত থেকে ফিরেছেন ১১ হাজার ৯৫২ জন (পুরুষ ১১ হাজার ৬৫৫ জন ও নারী ২৯৭ জন)। এদের অনেকেই আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকা কিংবা অবৈধ হওয়ায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। দেশটি থেকে কারাভোগ শেষেও ফিরেছেন অনেকে।
বাহরাইন থেকে ফিরে এসেছেন ২ হাজার ২৩ জন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৮ জন পুরুষ ও ১৭৫ জন নারী। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে আউটপাস নিয়ে দেশে এসেছেন। এছাড়া, অসুস্থতা কিংবা চাকরিচ্যুতির কারণেও ফিরতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।
উল্লেখিত সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত এসেছেন ৭১ জন। তাদের সবাই পুরুষ। কাজ না থাকার দরুণ ফিরতে হয়েছে তাদের।
কাতার থেকে ফেরত এসেছেন ২৯ হাজার ৬৫৫ জন (পুরুষ ২৬ হাজার ৮২২ জন ও নারী দুই হাজার ৮৩৩ জন)। তারাও ফিরেছেন কাজ না থাকার কারণে।
এই সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১২ হাজার ৩৬৮ জন (পুরুষ ১১ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ৪৯৯ জন)। তারাও কাজ না থাকার কারণে ফেরত এসেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ২২০ জন এবং তাদের মধ্যে পুরুষ ২১৭ জন ও নারী ৩ জন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফিরে আসেন।
থাইল্যান্ড থেকে ফেরত এসেছেন ৮৯ জন (পুরুষ ৭৮ জন ও নারী ১১ জন)। কাজ না থাকার কারণে ফেরত এসেছেন তারা। কাজ না থাকায় মিয়ানমার থেকে ফেরত এসেছেন ৩৯ জন পুরুষ কর্মী।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় জর্দান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে ২ হাজার ২০৪ জন কর্মীকে (পুরুষ ৪০৮ জন ও নারী ১ হাজার ৭৯৬ জন)। তাদের সবাই পোশাক শ্রমিক। প্রতারিত হয়ে ভিয়েতনাম থেকে ফেরত এসেছেন ১২১ জন পুরুষ কর্মী। কাজ না থাকায় কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন পুরুষ কর্মী ফেরত এসেছেন।
ইতালি থেকে ফেরত এসেছেন ১৫১ জন ফেরত পুরুষ কর্মী। এছাড়া, ৬ জুলাই বাংলাদেশে থেকে যাওয়া ১৫১ জন কর্মীকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
কাজ না থাকায় ইরাক থেকে ফেরত এসেছেন ১০ হাজার ১৬৯ জন (পুরুষ ১০ হাজার ১০৯ জন ও নারী ৬০ জন)।
কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত এসেছেন ৫৫৪ জন পুরুষ কর্মী। একই কারণে মরিশাস থেকে ফেরত এসেছেন ৪৫২ জন (পুরুষ ১৪০ জন ও নারী ৩১২ জন)।
রাশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১০০ জন পুরুষ কর্মী। তাদের ফিরে আসার কারণ নিশ্চিত করা যায়নি।
তুরস্ক থেকে ফিরেছেন ১০ হাজার ৪৫৩ জন। (পুরুষ ৯ হাজার ৭৪০ জন ও নারী ৪১৩ জন)। কাজ না থাকার কারণে ফেরত এসেছেন তারা।
লেবানন থেকে ফিরেছেন ৭ হাজার ১৬৯ জন (পুরুষ ৪ হাজার ৭১৬ জন ও নারী ২ হাজার ৪৫৩ জন)। কাজ হারানো এবং আউটপাস নিয়ে ফেরত এসেছেন তারা।
নেপাল থেকে ফেরত এসেছেন ৫৫ জন (পুরুষ ৪০ জন ও নারী ১৫ জন)। তাদের ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।
হংকং থেকে ফেরত এসেছেন ১৬ জন (পুরুষ ১২ জন ও নারী ৪ জন)। তাদের ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।
জাপান থেকে ফেরত এসেছেন ৮ জন পুরুষ কর্মী। তারা তিন বছর মেয়াদে আইএম জাপান প্রকল্পের মাধ্যমে যাওয়া প্রথম ব্যাচের এই কর্মীরা ছুটিতে এসেছেন।
ব্রিটেন থেকে ফিরে এসেছেন ১৩৪ জন। তাদের মধ্যে ১১৩ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। তাদের ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।
লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ৪৫৫ জন পুরুষ কর্মী। তাদের ফিরে আসার কারণও জানা যায়নি।
এছাড়া অন্যান্য কয়েকটি দেশ থেকে মোট ১৪৬ জন ফেরত আসেন। তাদের সবাই পুরুষ। কী কারণে তারা ফিরে এসেছেন তা এখনও জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150