আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিজস্ব প্রতিনিধি :
শেয়ারে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জের চৌধুরী রোলিং মিলসের ভাইস চেয়ারম্যান শাকিব আহামেদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলো বিজ্ঞ আদালত।দীর্ঘ চার বছর মামলাটি চলার পর চলতি বছরের (২ মার্চ ) নারায়ণগঞ্জের চৌধুরী রোলিং মিলসের ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট,ঢাকা।
উক্ত মামলার বাদী ছিলেন, আসাদুজ্জামান লিটন, মামলা নম্বর ৬২৭৯/ ২০২২।মামলাটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফ হোসেন জানান,শাকিব আহমেদ সরকারি নিয়ম মেনেই চৌধুরী রোলিং মিলসের শেয়ার ক্রয় করেন। এই বিষয়টা আদালতে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফ হোসেন আরও জানান, বিজ্ঞ আদালত সমস্ত সাক্ষ প্রমান বিচার পূর্বক, গত চার বছরে রোলিং মিলসের ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তার সমস্ত ক্ষতিপূরণ বাদী পক্ষকে দেওয়ার আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন রোলিং মিলস করার কারণে এলাকায় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। তিনি প্রতিবাদ করলে তার নামে এবং রোলিং মিলসের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ।
রোলিং মিলসের ভাইস চেয়াম্যান এই প্রতিবেদককে জানান, ‘আমি সকল নিয়ম মেনে রোলিং মিলস পরিচালনা করে আসছি কিন্তু কতিপয় কিছু অসাধু লোকেরা আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইলে আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমার নামে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে।আমি আদালত থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছি।
কিন্তু বাদীপক্ষ মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন কে গত চার বছরে রোলিং মিলসের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। বাদী মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন প্রথমে আদালতের রায় মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও মামলার রায় এবং ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশ প্রদানের পর ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি।উল্টো আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাদী পক্ষ তার পোষা ক্যাডার বাহিনী দিয়ে দখল করে রেখেছে রোলিং মিলসের তিনটি সেকশন।এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও কোন সহযোগিতা পাননি বলে দাবী করেছেন চৌধুরী রোলিং মিলসের ভাইস চেয়ারম্যান শাকিব আহমেদ।
রিপোর্টটি লেখার সময় অভিযুক্ত,বাদী পক্ষ মোঃ আসাদুজ্জামান লিটনের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে কয়েবার চেষ্টা করা হয়,কিন্তু তিনি ফোন না তোলায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি|