রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১০:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মধুপুরে অন-লাইন ব্যবসার আড়ালে পর্ণোগ্রাফি ২ জনের জেল জরিমানা ইরামতি নদীর পানি নিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্ন অভিযান নওগাঁ র‌্যাবের অভিযানে ২ হাজার ১শ’ ৬৮ লিটার বাংলা মদসহ ২ জন গ্রেফতার!!!! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় আঃলীগ নেতা আহত। রাঙ্গাবালীতে সৎমায়ের সাথে অভিমান করে ছেলের আত্মহত্যার চেষ্টা তালোড়া পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যৌথ কর্মীসভা ঝিনাইগাতীতে ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠিদের নিয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে কমিউনিটি সেশন অনুষ্ঠিত শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নাছরিনের সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সরিষাবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন নওগাঁয় রাতের আঁধারে ধানের পালায় আগুন লাগার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাঃ “বস্টনে পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন” খানকাহ শরীফ মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় ও মাজার জিয়ারত করেছেন খায়রুজ্জামান লিটন। শেরপুরে ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত পিবিআই বাগেরহাট জেলার আয়োজন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটির নগর মাতা মেয়র জায়েদা খাতুন সরিষাবাড়িতে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে রাস্তার সংস্কার সৌদিতে দুই বাংলাদেশি হজ এজেন্সি মালিককে ৯ লাখ সৌদি রিয়ালসহ গ্রেপ্তার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট অধ্যক্ষ কামরুননাহার

মাছের আঁশের কদর দিন দিন বাড়ছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৮২ বার পঠিত

cinn :-

রাজশাহীতে মাছের আঁশের কদর এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই মণ মাছের আঁশ কেনাবেচা হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহী থেকে সরাসরি আঁশ রপ্তানির কোনো সুযোগ নেই। যদি সুযোগ থাকতো তাহলে ভালো দাম পাওয়া যেতো।
তাই সম্ভাবনাময় এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিকল্প পেশার মানুষ। আর আঁশের ব্যবসার প্রসারের জন্য সবার আগে সরকারি সহায়তা এবং পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাছের আঁশের ব্যবসা রাজশাহীতে অনেকটাই নতুন। আগে এখানকার হাট-বাজারে মাছের আঁশের কদরই ছিল না। বাজারের মাছপট্টিতে জমা হওয়া আঁশগুলো ময়লা নর্দমায় ফেলে দেওয়া হতো। সময়ের বিবর্তনে এখন সেই আঁশেরই কদর তুঙ্গে। রাজশাহীর বাজারগুলোতে এখন ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যবসায়ী মাছের আঁশ সংগ্রহ করছেন। সাধারণত একটি মাছ কাটার জন্য পাঁচ থেকে দশ টাকা করে মজুরি নেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি তারা আলাদা করে মাছের আঁশ সংগ্রহ ও বিক্রির ব্যবসা করছেন। ফলে সরাসরি মাছ বিক্রি না করলেও বাজারে মাছ কেটে ও মাছের আঁশ কেনাবেচা করে এখন অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। মাছ বিক্রির পাশাপাশি এটি বিকল্প পেশা হিসেবেও এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে রাজশাহীতে। মাছের সঙ্গে আঁশ বিক্রি করে খুলেছে অতিরিক্ত আয়ের পথ। এই ফেলনা জিনিসটিও তাই সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এখন দেশজুড়েই তাদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজশাহী ছাড়াও, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাছের আঁশ কেনাবেচার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অন্তত শতাধিক লোক আঁশ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত। বাজারে যারা মাছ কাটেন এবং আঁশ ছাড়ান, প্রথম কাজটা তারাই করেন।

প্রথম পর্যায়ে এভাবে একসাথে ৩/৪ মণ মাছের আঁশ বস্তায় পুরে জমানো হয়। এরপর রাজধানী ঢাকা থেকে পাইকারী ক্রেতারা আঁশ কিনতে রাজশাহী আসেন। দরদাম করে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা লাভে তাদের কাছে মাছের শুকনো ঝরঝরা আঁশগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে বাজারে চাহিদা থাকলেও রাজশাহী থেকে মাছের আঁশ সরাসরি রপ্তানির সুযোগ নেই। তাই ব্যবসায়ীরা বিক্রিত মাছের আঁশের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
জানা যায়, মাছের আঁশের বড় রপ্তানির গন্তব্য হচ্ছে জাপান। কিন্তু সরাসরি জাপানে পাঠানো যায় না। জাপানি একটি বড় কোম্পানি চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় দুটি আলাদা কোম্পানি খুলেছে। ওখানে আগে পাঠানো হয়। মূল কোম্পানি পরে নিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়াতেও এখন কারখানা গড়ে উঠেছে। রপ্তানির জন্য তৈরি করার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে। তাদের সনদ পাওয়ার পরই রপ্তানির অনুমতি মেলে।
বছরে দেশ থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টন আঁশ রপ্তানি হয় বলে জানা যায়।

বর্তমানে দেশে তিনটি কারখানা আছে। মোট রপ্তানি হয় আনুমানিক দেড় লাখ ডলারের পণ্য। তবে সুযোগ না থাকায় রাজশাহী থেকে সরাসরি মাছের আঁশ রপ্তানি করা যায় না। মূলত ঢাকা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তাদের মাছের আঁশ জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। জাপান ছাড়াও থাইল্যান্ড এবং ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে মাছের আঁশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উন্নতমানের প্রসাধনসামগ্রী ফুড সাপ্লিমেন্ট, ক্যাপসুলের ক্যাপ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার হয় ফেলে দেওয়া এই মাছের আঁশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150