শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কালাইয়ের ঝামুটপুর বানিহারা হাতিয়র এলাকাবাসীর সালাতুল ইস্তিসকার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেড স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এর গর্বিত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যর জমি গভীর রাতে দখল স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলা নওগাঁয় প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি খাস জমির গাছ কেটে আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই নওগাঁর নোচনাহার বাজারে স্টেশনারি ও কাপড়ের ৩ টি দোকান আগুনে পুড়ে ভূষ্মিভত নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে একই পরিবারের ৪ ভাই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধী মধুপুরে ইসতিসকার সালাত ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর ধামইরহাটে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষককের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুপচাঁচিয়াতে তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রিন ভয়েসের ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নওগাঁ সেনা সদস্যকে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গাইবান্ধার পলাশবা‌ড়ি‌তে মিথ্যা অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে এক সংবাদ স‌ম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে মধুপুর উপজেলা ইয়াকুব আলী নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত ৪৮ নওগাঁ ৩ আসনের এমপির মা,সবিতা চক্রবর্তীর দশম প্রণয় দিবস পালিত কালাইয়ে তীব্র তাপদাহ ও অনা বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সালাতুল ইস্তিসকার অনুষ্ঠিত নওগাঁ যৌতুকের টাকা না পেয়ে কিশোরী ঐশীর হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ উদযাপন করুন : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ মে, ২০২১
  • ১৬৫ বার পঠিত

করোনা সংক্রমণ থেকে নিজ পরিবারকে রক্ষা করতে, অযথা ছোটাছুটি করে গ্রামের বাড়ি যেতে আবারও নিরুৎসাহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে যেখানে আছেন, নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই এবারের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ‘যেখানে ধনীদের দৌরাত্ম্য বেশি, সেখানে কাজ করা কষ্টকর’ বলে মন্তব্য করে অতিরিক্ত সম্পদ গড়ার মানসিকতা ত্যাগ করার আহ্বানও জানান সরকারপ্রধান।
রোববার রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৪৪০ পরিবারের মধ্যে প্লট হস্তান্তর করা হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্লটের দলিল তুলে দেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি, ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ‍ছুটছে। কিন্তু এই যে আপনারা এক সঙ্গে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক, যেখানে হোকÑ কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না। কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা, দাদা-দাদি, ভাই-বোনÑ যেই থাকুক, আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন। তার জীবনটাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন। ঘরমুখো মানুষদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, একটা ঈদে কোথাও না গিয়ে নিজের ঘরে থাকতে কী ক্ষতিটা হয়? কাজেই আপনারা ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকেন। নিজের মতো করে ঈদটা উদযাপন করেন। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, নিজের ভালো চিন্তা করেন। সঙ্গে সঙ্গে যার যার পরিবারের ভালো চিন্তা করেন।

মহামারিতে সারাবিশেই যে মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিনিয়ত বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয়, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে আসারও একটা আশঙ্কা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজেদের সেভাবে চলতে হবে, যেন সবাই করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারি।
সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময়ে আপনারা একটু মাস্ক পরে থাকবেন। সাবধানে থাকবেন। কারণ আবার নতুন আরেকটা ভাইরাস (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) এসেছে, এটা আরও বেশি ক্ষতিকারক। যাকে ধরে, সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। সেজন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকেন, অন্যকে সুরক্ষা দেন।

অট্টালিকার মালিকরাও পূর্বাচলে প্লট চায় : যেখানে ধনীদের দৌরাত্ম্য বেশি, সেখানে কাজ করা কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যাদের অনেক বড় বাড়িঘর আছে তারা আরও চায়। তাই পূর্বাচলের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের জমি দিতে সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। অতিরিক্ত সম্পদ গড়ার মানসিকতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের এত বিশাল বিশাল অট্টালিকা, বাড়িঘর-ফ্ল্যাট সবই আছে, তাদের আরও লাগবে কেন? মরলে তো সবাইকে যেতে হবে সেই কবরেÑ মাত্র তিন হাত-সাড়ে তিন হাত জায়গায়। এই ধন-সম্পদ কেউ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে না। এ কথাটা মানুষ কেন ভুলে যায় আমি জানি না। তিনি বলেন, আমরা শহর গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দেশে যারা বিত্তশালী তারা প্লট কেনেন, ভালো ভালো দৃষ্টিনন্দন বাড়িঘর বানান। যখন পূর্বাচল শুরু হলো, তখন আমি দেখেছি; এমনকি গুলশান, বারিধারায় বিশাল বিশাল অট্টালিকাও যাদের, তাদেরও পূর্বাচলে একটা প্লট না থাকলে নাকি ইজ্জতই থাকে না। এ রকমও কিছু কিছু মানুষের মানসিকতা আমি দেখেছি।
এ সময় তিনি বলেন, পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত শহর। আমরা শুধু ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে না প্রতিটি বিভাগ এবং জেলায়ও এ ধরনের পরিকল্পিত বাড়ি যেন মানুষ করতে পারে, উন্নত জীবন পায়, প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সে চেষ্টা করে যাচ্ছি, চেষ্টা করে যাব।
প্লটপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের হাতে প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি এটা আমার জন্য সত্যি আনন্দের। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যেটুকুু পারি, যেভাবে পারি মানুষের জন্য করার সেটা আমরা করে দেব। প্রত্যেকটি ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে, আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে, লেখাপড়া শিখবে। সেই লেখাপড়া শুধু কিতাবি পড়া না, সঙ্গে সঙ্গে ভোকেশনাল ট্রেনিং নেবে, কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে; যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। শুধু বিএ-এমএ পাস করলে হবে না, চাকরির পেছনে ছুটলে হবে না, নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে; নিজেরা চাকরি দিতে পারে সেভাবে নিজেদের কাজ করতে হবে। আমরা সেভাবেই সমাজকে গড়ে তুলতে চাই।

যারা নতুন প্লটের বরাদ্দ পেলেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের সত্যিকার প্রাপ্য, আপনারা কিন্তু বঞ্চিত ছিলেন। কাজেই আমার সবসময় একটা প্রচেষ্টা ছিল যে, কীভাবে আপনাদের বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেব। আপনারা জমি দিয়েছেন অথচ আপনারা প্লট পাবেন না; এটা হতে পারে না।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পূর্বাচলে জাতির পিতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের একটা প্রকল্প অনুমোদনের প্রস্তাব এলেও তাতে সায় দেননি বলে অনুষ্ঠানে জানান সরকারপ্রধান। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সেই ফাইলে আমি লিখে দিয়েছিলাম, এখানকার যারা আদিবাসী তারা প্লট পাবে। তারপর আমি এ প্রকল্পের অনুমোদন দেব। তার আগে কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেব না এবং কীভাবে প্লট বের করবে সেটা মন্ত্রণালয় বা রাজউক যেন খুঁজে বের করেÑ সে নির্দেশনাটাই আমি দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি এটুকু চাইÑ বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যেটুকু পারি, যেভাবে পারি একটা মানুষকে একটা ঘর, একটা মাথাগোজার ঠাঁই সেটা আমরা করে দেব এবং প্রত্যেকটি ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে, আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে, লেখাপড়া শিখবে।
যুবসমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শুধু কেতাবি না, সঙ্গে সঙ্গে ‘ভোকেশনাল ট্রেইনিং’ নিতে হবে, কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে, যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। তিনি বলেন, শুধু বিএ-এমএ পাস করলে হবে না, চাকরির পেছনে ঘুরলে হবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজেরা যেন চাকরি দিতে পারে সেভাবে নিজেদের কাজ করতে হবে। আমরা সেভাবে এদেশের যুবসমাজকে গড়ে তুলতে চাই।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ এলাকায় মোট ৬ হাজার ২৭৭ একর জমিতে পূর্বাচল নতুন শহর গড়ে তুলতে ১৯৯৬ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লেগে যায়। ২৫ বছর আগে শুরু হওয়া সরকারের এই সর্ববৃহৎ আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকারও বেশি। ইতোমধ্যে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মূল অধিবাসী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্তদের ৬ হাজার ৪৪২টি প্লটের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মূল অধিবাসী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত বাকিদের মধ্যে ১ হাজার ৪৪০টি প্লটের বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রোববার পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান এবিএম আমিনউল্লাহ নুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150