দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের কারণে যাত্রাবাহী ট্রেন, নৌযান এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলও বন্ধ থাকবে। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে অনেক মানুষ। লকডাউনের খবর পাওয়ার পর পরই তারা বাস ও ট্রেন স্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালের দিকে ছুটছেন।
এদিকে গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনার কারণে বাসে আসন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক যাত্রী।
রাজধানীর কল্যাণপুরের এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহণের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক বাবু আহমেদ বলেন, শনিবার দুপুর থেকে যাত্রীদের ফোনের পর ফোন আসা শুরু হয়। এখন যারা ফোন দিচ্ছেন, সবাইকে বলতে হচ্ছে আর একটি টিকেটও অবশিষ্ট নেই। রবিবার রাত পর্যন্ত সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহণের কাউন্টারে টিকেট বিক্রি করেন শফিক আহমদ। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে কয়েক দিন ধরে বাসের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহণ করছেন তারা। এতে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। লকডাউন ঘোষণার পর তুলনামূলকভাবে যাত্রীও বেশি আসা শুরু করেছে। কাল রবিবার ঘরমুখো মানুষের চাপ আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য লোকজনের ভিড় বেড়েছে। ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চের ডেক ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। কিন্তু কেবিন ভাড়া আগের মতোই রয়েছে।
এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা দেয় সেসমস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা থাকবে। আর শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে। যাতে করে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিভিন্ন শিফটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, লকউনের মুখ্য উদ্দেশ্য হবে অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা ও সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখা। যদি কোনো মানুষ তার গন্তব্যে পৌঁছাতে চায় সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় দিয়ে লকডাউন কার্যকর করার চিন্তা চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..