করোনা পরবর্তী জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছেন ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধিরা। তারা সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার খবর রাখছে বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির একাধিক নেতা।
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বার্তা পাঠাচ্ছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সৌদি আরব, কুয়েত, ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসহ সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের ব্রিফিংগুলো তারা ফলো করছে’।
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন কূটনীতিকরা। এটি অব্যাহত রয়েছে’।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সরকারি অনুমতি পেলে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া।
১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনো তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিলে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।