সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ=
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামে মহা ধুমধামে চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষ শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
কইল ঠাকুর পাড়া নিমতলা সার্বজনীন পূজা কমিটির আয়োজনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রতি বছর চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষ আয়োজিত হয় নবরাত্রি উৎসবের। বাঙালি ও সনাতন ধর্মলম্বিদের সম্প্রদায়ের এটি চৈত্র নবরাত্রি নামে পরিচিত। নয় রাত ধরে দেবী দূর্গার নয় রুপের আরাধনা করা হয়। অর এই সময়ে মহাধূম ধামের সঙ্গে সনাতন ধর্মলম্বীদের বাঙালিয়ানা মেতে ওঠে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজোই বাঙালির আসল দুর্গাপূজা। পরে শরৎকালে শারদীয়া নবররাত্রি সময় রামচন্দ্রের অকাল বোধন মেনে দূর্গা পূজার প্রচলন হয়। এই নবরাত্রির ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, থেকে নবমী,পাঁচ দিন ধরে চলে বাসন্তী পূজো। দূর্গা পূজার মতোই সব নিয়ম নিতি আচার আচরণ মেনে বাসন্তী পূজা করা হয়। বসন্ত কালে এই দুর্গাপূজা হয় বলে একে বাসন্তী পূজা বলা হয়ে থাকে । মঙ্গলবার অন্নপূর্ণা পূজা বুধবার রামনবমী ১ লা বৈশাখের দিন থেকে শুরু হয়েছে বাসন্তী পূজো। রবিবার ষষ্ঠী সোমবার সপ্তমী মঙ্গলবার অষ্টমী বুধবার নবমী ও রামনবমী তিথি রাম নবমী তিথি হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে যেহেতু উদয়া তিথি ধার্য করা হয়।সেই নিয়মে ১৭ এপ্রিল রামনবমীর বা জয় শ্রী রামের তিথি পালন করা হয়। এবছর দেবী এসেছে ঘটকে শাস্ত্র মতে দেবী আসা ও যাওয়ার উপর নির্ভর করে গোটা বছর কেমন কাটবে। দেবী দুর্গা কোন বছর ঘোড়ায় কোন বছর হাতি আবার কোন বছর নৌকায় কোন বছর দোলাই, ঘোড়ায় চড়ে দেবীর মত্যলোকে আগমন ঘটে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে অনুসারে শুভ লক্ষণ হিসাবে মানা হয় না। এর ফলে ক্ষমতার পরিবর্তন ও অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। পুরাণ অনুযায়ী সমাধি নামক বৈশর সঙ্গে মিলে রাজা সুথর বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো নামে প্রসধি হয় । দেবী দুর্গার প্রথম পূজারী হিসেবে চন্ডিতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে। পরে রাবণ বধের উদ্দেশ্য শ্রী রামচন্দ্রের অকালবোধন করেন। এবং তখন থেকে দূর্গা পূজার শরৎকালে শুরু হয়। ঋষিকে এ কথা বলায় তিনি বলেন সবাই মহামায়ার ইচ্ছো এর পর ঋষি মহামায়ার কাহিনী বর্ণনা করেন ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। পরে মহামায়ার আশীর্বাদেই বসন্ত কালের শুক্লপক্ষে রাজা পুজো শুরু করেন। বাসন্তী পূজা এই পুজো এখন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দশমী অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কইল গ্রামে দুইটি শ্রীশ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।