বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১লা মে, আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষেরঅধিকার আদায়ের দিন নওগাঁ প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে কৃষকের মৃত্যু নওগাঁ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান চন্দ্র রায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন নওগাঁ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত নওগাঁর ধামইরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহার আলীর গণজোয়ার বিজয়ের পথে জনপ্রিয় সোহেল রানা ও অনজুয়ারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিশ্ব আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  দুপচাঁচিয়ায় গৃহ নির্মাণ শ্রমিক পরিষদের মহান মে দিবস উদযাপন নলডাঙ্গা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালাইয়ে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত কালাইয়ে ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত দুপচাঁচিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থী ভোটের মাঠে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাক অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত২ আহত২ মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মধুপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন স্বামী- কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্ত্রীর মামলা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি জয়পুরহাট ইউনিটের এপ্রিল মাসের মাসিক আড্ডা অনুষ্ঠিত কালাইয়ের ওমর স্কুলে এপ্রিল মাসের শিক্ষক-স্টাফদের জন্মদিন পালন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন আনন্দে কৃষক  দুপচাঁচিয়ায় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নাট্যকার অমৃতলাল বসুর জন্মদিন আজ :

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮ বার পঠিত

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
উজ্জ্বল কুমার সরকার

আজ ১৭ এপ্রিল নাট্যকার, নাট্যসংগঠক ও অভিনেতা অমৃতলাল বসু এঁর জন্মদিন। রসরাজ অমৃতলাল বসু (১৮৫৩-১৯২৯) নাট্যকার, নাট্যসংগঠক ও অভিনেতা। ১৮৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে তাঁর জন্ম। উনিশ শতকে সাধারণ বাংলা রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, অমৃতলাল বসু ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি কলকাতার জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন থেকে এন্ট্রান্স পাস (১৮৬৯) করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। দু’বছর ডাক্তারি পড়ার পর কাশী গিয়ে তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রণালী শিক্ষা করেন এবং কলকাতায় কিছু দিন এর চর্চাও করেন। এ ছাড়া তিনি কিছু কাল স্কুলে শিক্ষকতা, পোর্টব্লেয়ারে সরকারি চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন এবং পুলিশ বিভাগে চাকরি করেন। কিন্তু থিয়েটারের প্রতি আকর্ষণহেতু কোনও পেশায় স্থায়ী হতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তিনি নাটক রচনা ও অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন এবং কালক্রমে এক জন অভিনেতা, মঞ্চাধ্যক্ষ, নাটক ও গান রচয়িতা হিসেবে দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন।

অর্ধেন্দুশেখর মুস্তফির সহযোগিতায় অমৃতলাল ১৮৭২ সালে ন্যাশনাল থিয়েটারে মঞ্চস্থ নীলদর্পণ নাটকে সৈরিন্ধ্রীর ভূমিকায় প্রথম অভিনয়ে অবতীর্ণ হন। পর্যায়ক্রমে নাট্যসম্রাট গিরিশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা জন্মে। ১৮৭৫ সালে তিনি গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের ম্যানেজার নিযুক্ত হন। প্রিন্স অব ওয়েলসের (সপ্তম এডওয়ার্ড) কলকাতায় আগমন ও জনৈক রাজভক্তের চাটুকারিতাকে ব্যঙ্গ করে লেখা গজদানগদ ও যুবরাজ প্রহসনে অভিনয়ের কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮৭৬ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারতে অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন জারি করে। ১৮৮৮ সালে গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটার ভেঙে যাওয়ার পর অমৃতলাল স্টার থিয়েটারে যোগ দেন এবং দীর্ঘ ২৫ বছর এর সঙ্গে যুক্ত থেকে বহু নাটকের অভিনয় ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলা নাট্যসাহিত্যে নাট্যকার হিসেবেও অমৃতলালের নাম সগৌরবে উচ্চারিত হয়।

নাটক, প্রহসন ও নকশা জাতীয় তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা চল্লিশ। সেগুলির মধ্যে তিলতর্পণ (১৮৮১), বিবাহ বিভ্রাট (১৮৮৪), তরুবালা (১৮৯১), কালাপানি (১৮৯২), বাবু (১৮৯৩), বিমাতা (১৮৯৩), আদর্শ বন্ধু (১৯০০), অবতার (১৯০২), চোরের উপর বাটপাড়ি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রহসন ও ব্যঙ্গ রচনাতেই অধিক সফল হয়েছেন। সমকালের নাগরিক ও গ্রামীণ সমাজের নানা দিক নিয়ে এ সব ব্যঙ্গাত্মক নাটক রচিত হয়। এর জন্য তিনি সমাজের এক শ্রেণির প্রশংসা এবং অপর শ্রেণির নিন্দার ভাগী হন। তিনি রঙ্গ-ব্যঙ্গমূলক নাটক রচনা ও তাতে অভিনয় করে সুধীসমাজ কর্তৃক ‘রসরাজ’ উপাধিতে ভূষিত হন। পুরাতন প্রসঙ্গ, পুরাতন পঞ্জিকা ও ভুবনমোহন নিয়োগী নামে তাঁর তিনটি আত্মস্মৃতিমূলক রচনা আছে। অমৃতলাল কবিতা ও গল্প-উপন্যাসও রচনা করেছেন। প্রথম দিকে কবির লড়াইয়ের কবিতা ও হাফ-আখড়াই গান লিখেও তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন।

থিয়েটার জগতের বাইরেও অমৃতলালের পদচারণা ছিল। স্যার সুরেন্দ্রনাথের সহকর্মীরূপে, স্বদেশি যুগের কর্মী এবং বাগ্মী হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। শ্যামবাজার অ্যাংলো-ভার্নাকুলার স্কুলের সেক্রেটারি, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি এবং কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির সভ্য ছিলেন অমৃতলাল। তাঁর কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘জগত্তারিণী’ পদকে ভূষিত করে। ১৯২৯ সালের ২ জুলাই অমৃতলালের মৃত্যু হয়।

আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150