শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী নওগাঁয় বজ্রপাতে বাবুল হোসেন নামে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু নওগাঁ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেশ চন্দ্র আর নেই নওগাঁর মান্দায় চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের দাবিতে বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (পুরুষ) ভাইস চেয়ারম্যান হলেন গোলাম মোস্তফা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন মেরিনা খাতুন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আবু সাঈদ দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মহসীন আলীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান হলেন মোঃ মিনফুজুর রহমান মিলন নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ ভোটগ্রহণ শুরু, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মদিন সিএমপি ইপিজেড থানার অভিযানে সিআর সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী মঞ্জুর আলম,গ্রেফতার পল্লবীতে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলাকারীরা আজও পলাতক কালাইয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মিলনের বিজয়- টাঙ্গাইলের মধুপুরে ভোট দেয়া হলো না মাসুদের নওগাঁ জেলা প্রথম ধাপে আগামীকাল ৮ এই মে তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে নওগাঁ অভিযান চালিয়ে ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আজিজার রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার নওগাঁর নিয়ামতপুর গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু কিংবদন্তী কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর প্রয়াণ দিবস

পৃথিবীর আশ্চর্য সুন্দর কিছু জায়গা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৪৪ বার পঠিত

বৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবী। তার কটাইবা আমরা জানি। বিশ্বের আনাচে-কানাচে কত রকম অবিশ্বাস্য সৃষ্টি রয়েছে তার অনেকই আসলে অজানা। তবে যেসব বিস্ময়কর সৃষ্টি মানুষের সামনে এসেছে তার কয়েকটি এতটাই অবাক করার মতো যে, দেখলেও বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনই কয়েকটি বিস্ময়কর স্থান তুলেছে বিবিসি।

গ্র্যান্ড প্রিজম্যাটিক স্প্রিং, যুক্তরাষ্ট্র

রঙিন পানিতে ভরা একটি লেক। লেকের পানি ফুটছে এবং বাষ্প হয়ে উড়ে যাওয়ার দৃশ্যও স্পষ্ট। মনে হচ্ছে যেন লেকের নিচে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, যার ফলে টগবগ করছে লেকের পানি। কয়েকটি রঙের সংমিশ্রণে তৈরি অবিশ্বাস্য এই ফুটন্ত পানির লেকটি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। যাকে বলা হয় ‘গ্র্যান্ড প্রিজম্যাটিক স্প্রিং’। রংধনুর রঙে রাঙানো লেকটি। যেসব অনুজীব ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রায় বেঁচে থাকে সেগুলোর কারণে এই রংধনুর সৃষ্টি হয়। পৃথিবীতে যেভাবে জীবনের সূচনা হয়েছিল বলে বিজ্ঞানীরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এটি ঠিক সেই পরিবেশের মতোই।

ঝরনাটির কথা মানুষ প্রথম জানতে পারে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। এ সময় বিভিন্ন অভিযাত্রী আর জরিপকারীরা এ ধরনের একটি জলাধারের কথা বলেন। ১৮৩৯ সালে আমেরিকান ফার কোম্পানির একদলকর্মী এই এলাকায় অভিযান শেষে ফিরে গিয়ে ফুটন্ত একটি লেকের উপস্থিতির কথা নথিবদ্ধ করেন।

লেকের মাঝখানটা গাঢ় নীল। চারপাশে গোল রিংয়ের আকৃতির আরো নানা রঙের খেলা চোখে পড়ে। এর মধ্যে আছে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজসহ আরো নানা বর্ণ। ঋতুভেদে ব্যাকটেরিয়ার তারতম্যের কারণে রঙের কিছুটা পরিবর্তন চোখে পড়ে। লেকের মাঝখানে পানি প্রচণ্ড উত্তপ্ত। এখানে ব্যাকটেরিয়ার আধিপত্য একেবারেই কম। তাই এই অংশে খুব পরিষ্কার গাঢ়-নীল জল চোখে পড়ে। ঝরনাটির ব্যাস প্রায় ৩৭০ ফুট আর গড় গভীরতা ১২১ ফুট। পর্যটকদের পাশাপাশি বিভিন্ন খনিজ নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের পদচারণাও এখানে নিয়মিত।

ভাতানুকুল ন্যাশনাল পার্ক, আইসল্যান্ড

ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড প্রাকৃতিকভাবেই মনোমুগ্ধকর। বিশ্বের আশ্চর্যজনক স্থানগুলোর বেশ কয়েকটি রয়েছে এ দেশে। সেসব স্থানের অন্যতম দেশটির ভাতানুকুল ন্যাশনাল পার্ক। আলোকচিত্রীদের কাছে এটি স্বপ্নের মতো একটি জায়গা। সেখানে রয়েছে বিশ্বের বৃহৎ হিমবাহগুলোর একটি। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য বরফের গুহা।

২০০৮ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের এ পার্কটিকে পর্যটকদের উপযোগী করে আইসল্যান্ড। এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জকুলসালগজুফুর ও সাকাফাফেল ন্যাশনাল পার্ককে একসঙ্গে করে দেওয়া হয়। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পার্ক। ১২ হাজার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। খরস্রোতা নদী, জমে থাকা বরফ, আগ্নেয়গিরি এবং ভ‚তাত্তি¡ক পরিবেশ এই পার্ককে অনন্য করে তুলেছে। বিশ্বের আলোকচিত্রীদের কাছে এই পার্কটি স্বপ্নের মতো।

নেভাদার ফ্লাই গিজার, যুক্তরাষ্ট্র

এই পৃথিবীতেই এমন বিস্ময়কর জিনিস রয়েছে তা আপনার বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যের ওয়াসিহোয়ে কাউন্টিতে অবস্থিত ফ্লাই গিজারটি ভ‚তাত্তি¡কদের কাছেও অন্যতম বিস্ময়। এই গিজারটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। ৭৪ একর ভ‚মির ওপর অবস্থিত গিজারটি। গিজারটির রং বৈচিত্র্যপূর্ণ থারমপলিক এলজিই, যা রংধনুর মতো দেখতে। পাঁচ ফুট পর্যন্ত গরম পানি ছুড়ে দেয় গিজারটি।

যদিও এর সৃষ্টি অনিচ্ছাকৃতভাবে। ১৯১৭ সালে সেচ কাজের জন্য কুয়া খোঁড়ার পর দেখা যায়, বের হওয়া পানির তাপমাত্রা প্রায় ২০০ ডিগ্রি, তাই এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৪ সালে একটি কোম্পানি খনিজ অনুসন্ধানে জায়গাটি পুনঃখনন করে। কিন্তু পানির তাপমাত্রা আগের মতোই পাওয়া যায়। অতএব, আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় মুখটি। হয়তো বা মুখটি ঠিকমতো আটকানো হয়নি; কারণ কিছুদিন পর এখান থেকে গরম পানি বের হওয়া শুরু হয়। এভাবেই জন্ম হয় ফ্লাই গিজারের।

ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা এ গিজারের পানি থেকে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ডোবা। রংধনুর সাত রঙে সাজানো গিজারটি দেখে মনে হয় পৃথিবীর বাইরের কিছু। শ্যাওলার কারণে এর গায়ের রং হয়েছে লাল-সবুজ। আর পানির সঙ্গে ছুড়ে মারা খনিজ পদার্থগুলো অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে রংধনুর রং সৃষ্টি হয়েছে।

এন্টিলোপ ক্যানিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র

এন্টিলোপ ক্যানিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত একটি ¯øট। এটিকে ‘দ্য ক্রাক’ এবং ‘দ্য কর্কস্কর’ নামে দুটি পৃথক অংশে ভাগ করা হয়েছে। এই গিরি খাতের বেশিরভাগ অংশ এখনো অনাবিষ্কৃত। লাখ লাখ বছর ধরে বন্যার পানির সঙ্গে আসা বালি ও কাঁকরের কারণে পাথরে এসব সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে।

অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই গিরিপথটি পর্যটকদের জন্য খোলা থাকলেও গাইড ছাড়া সেখানে যাওয়া নিষেধ। অভিজ্ঞ গাইডরা পর্যটকদের সাবধানে আবিষ্কৃত অংশ ঘুরিয়ে দেখায়।

সমুদ্রে তারার মেলা, মালদ্বীপ

আকাশে তারা থাক বা না থাক সমুদ্রের পানিতে তারার মেলা দেখতে পাওয়া অবিশ্বাস্যই বটে। শুধু তারার মেলা নয় তারাগুলো রীতিমতো লাইটের মতো জ্বলতে থাকে। হ্যাঁ এই অবিশ্বাস্য পরিবেশের সৃষ্টি হয় মালদ্বীপে। সমুদ্রে ভাসমান জীবাণু বা প্লাঙ্কটন থেকে ছড়ায় নীল আলো।

গোলাপি হ্রদ, অস্ট্রেলিয়া

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যভাগে একটি হ্রদ রয়েছে, যার পানির রং গোলাপি। এই হ্রদটির নাম হিলিয়ার হ্রদ। বিশেষ কোনো সময়ে নয়, স্থায়ীভাবেই এই হ্রদের পানির রং গোলাপি। বিস্ময়কর এই গোলাপি রঙের পেছনে Dunaliella salina নামক ক্ষুদ্র শ্যাওলাকে চিহ্নিত করা হয়। এর আধিক্যের কারণে পানির রঙে বিচিত্রতা এসেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া Halophile ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে পানির রং গোলাপি হয়। ১৮০২ সালের ১৫ জানুয়ারি ইংলিশ অভিযাত্রী ম্যাথু ফ্লিন্ডার সর্বপ্রথম এই লেক আবিষ্কার করেন।

এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২০০০ ফুট আর প্রস্থ ১২০০ ফুট। লেক হিলিয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। গবেষণার প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়া সরকার লেকটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই বিদেশি পর্যটক তো বটেই, স্থানীয়দেরও এখানে যাওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150