রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মনোহরদীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ও ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে উপজেলা সেচ্ছাসেবী পরিষদের অর্থায়নে অসহায় পরিবারের হাতে নির্মাণাধীন ঘরের চাবি হস্তান্তর কালাইয়ে হয়েছে রহমতের বৃষ্টি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ মাগুরায় প্রতিবেশীর হামলায় আহত ৪ চাঁদাবাজি,ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি ২ নেতাকে শোকোজ ঘোষণা নওগাঁ দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী সঞ্জয় কুমার নিহত দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আসন্ন ২য় ধাপে,উপজেলা নির্বাচন-২০২৪ নওগাঁর পোরশায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলেল শুভেচ্ছা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা বীজ ও সার বিতরন দুপচাঁচিয়া নিউ মার্কেট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ বাংলার যাত্রা সম্রাজ্ঞী জোৎস্না বিশ্বাসের শুভ জন্মদিন আজ : সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ : যুব শক্তি সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ঠান্ডা পানির শরবত ও স্যালাইন বিতরণ নওগাঁর পোরশায় ছাওড় ইউপির উম্মুক্ত বাজেট ঘোষণা দুপচাঁচিয়ার চৌমুহানী বাসস্ট্যান্ডে গণশৌচাগার না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি নওগাঁর পোরশায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে কাঠের ‘স’ মিল ভূষ্মিভূত

বগুড়ায় মোটর মালিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২২৪ বার পঠিত

মো: মাসুদ রানা,বগুড়া:  বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও শটগানের গুলি ছুড়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মালিক সমিতি, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (এডিএম) প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইতিমধ্যে নির্বাচনী তফসিলও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা যুবলীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম নির্বাচনের বিরোধিতা করে মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয় ও মালামাল তার হেফাজতে শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রাখে।

মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন ও তার অনুসারীরা মঙ্গলবার সকালে চারমাথায় এলাকায় গিয়ে আমিনুলের নিয়ন্ত্রণে থাকা কার্যালয় দখলের ঘোষণা দেন।

এ খবর পেয়ে যুবলীগ নেতা আমিনুলের লোকজন চারমাথা এলাকায় সমবেত হয়। তারা যেকোনো মূল্যে মোহন গ্রুপকে প্রতিহত করতে মাইকে ঘোষণা দেয় এবং পরিবহন শ্রমিকদের হাতে লাঠি নিয়ে অবস্থান নিতে আহ্বান জানায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ও সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ চারমাথায় অবস্থান নেয়।

পুলিশ আমিনুলকে সমঝোতায় প্রস্তাব দিলে আমিনুল তা প্রত্যাখ্যান করে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে অপর পক্ষকে প্রতিহত করবে বলে জানান।

এ সময় আমিনুল গ্রুপের লোকজন পুলিশের সামনেই লাঠি মিছিল শুরু করে। মোহন গ্রুপের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী সান্তাহার সড়ক দিয়ে চারমাথার অদূরে এলজিইডির সামনে অবস্থান নেয়।

পুলিশ মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলেও এক সময় মোহন গ্রুপ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আমিনুল গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ব্যাপক ভাঙচুর চলে।

এলোপাতাড়িভাবে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুলের নিয়ন্ত্রণে থাকা মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয় ও তার পাশে অমিনুলের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ।

প্রায় আধঘণ্টা ব্যাপী দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও তাণ্ডব চলে। এ সময় ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে জিটিভির ক্যামেরাপারসন রাজু আহম্মেদকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

এছাড়াও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কনস্টেবল রমজান আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা শুরু করে।

এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে পুলিশ রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ ৯ জনকে আটক করে। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার পর মোহন গ্রুপ চারমাথা এলাকা ত্যাগ করলে আমিনুল গ্রুপের লোকজন পুনরায় সমবেত হয়ে চারমাথা এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে আবারও তাদের হটিয়ে দেয়। সংঘর্ষের পর চারমাথা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ ফয়সাল মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ কনস্টেবল ও এক সাংবাদিককে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150