বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কিংবদন্তী কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর প্রয়াণ দিবস গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মাংস ব্যবসায়ীদের ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত  নওগাঁর মান্দায় বেসরকারি সিসিডিবির গ্রাজুয়েট ফোরামের দায়িত্ব হস্তান্তর নওগাঁর মান্দায় দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি সপ্তম শ্রেণী স্কুল ছাত্রী নওগাঁ গভীর নলকূপের সেচভাড়ার টাকা চাওয়ায় ড্রেনম্যানকে পিটিয়ে জখম দুপচাঁচিয়ায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ রঞ্জন পাল দেওয়ানগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা সুরস্রস্টা রামতনু পান্ডে- তানসেন এর প্রয়াণ দিবস কালাই উপজেলা নির্বাচন: ত্রিমুখী লড়ায়ে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান? নওগাঁর চৌমাশিয়া বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাধন নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু কালাই উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান মানুষের মনকে পুলকিত করছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য কৃষ্ণচূড়া ফুল মধুপুরে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা- চোর গ্রেফতার দুপচাঁচিয়ায় বার্মিচ চাকু সহ এক যুবক ও মাদক বিক্রেতা সহ গ্রেপ্তার ৯ জন শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শ্যামল গাইবান্ধার সাঘাটায় হারভেস্টার মেশিনে ধানের গাছ কর্তন আনন্দে কৃষক  মাগুরা মহম্মদপুরে স্ত্রীর নির্যাতনে স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রীকে নিয়ে ওমরাহ পালন নওগাঁর পোরশায় বিভিন্ন এতিমখানায় ৩৬ লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা চেক বিতরণ দুপচাঁচিয়ায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা

বরিশালে মোবাইল চোর ও ‘সহযোগী মোবাইল টেকনিশিয়ান’ হাফিজ চরম অবস্থানে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২
  • ১২৯ বার পঠিত

 

শোয়েব হোসেন —

বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল সিন্ডিকেট চক্রের মূলহোতাসহ একাধিক অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে নজর দিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।তারা বলেন, নগরীর গির্জা মহলার ভেনাস মার্কেট ও আশপাশে চলে মূলত বড় কাজগুলো।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি-বিদেশি মোবাইল, ট্যাব ও ল্যাপটপের আইএমইআই বদলে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চোখে ধুলো দেয় তারা।
এছাড়া তাদের কাছে রয়েছে অবৈধ মোবাইলের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর পরিবর্তন করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। এসব সরঞ্জামাদি দিয়ে তারা মুহূর্তেই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করেন। তাতে পরবর্তীতে কোন মোবাইলের সঠিক সন্ধান পাওয়া যায়না প্রযুক্তি ব্যবহারেও।
তবে বরিশাল আন্তঃজেলা চোর চক্রের প্রায় ৯০% চুরির ফোনের কাজই করেন……. টেলিকমের হাফিজ। এটা হাফিজের নিজেরও স্বীকারোক্তি। যদিও তার দাবী আরও কিছু লোক একই মার্কেটে এই কাজ করে।

সূত্র জানায়,ছিনতাইকারী কিংবা চোর ফোনের জন্য সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পেলেও আইএমআই পরিবর্তন করা এসব ফোন বিক্রি হয় ১৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায়। আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের পর চক্রটি মূলত বিভিন্ন মার্কেটের সামনে গোপনে বিক্রি করে থাকে এসব চোরাই মোবাইল। আর আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করার কারণে এসব মোবাইল পরবর্তী সময়ে উদ্ধার করাও সম্ভব হয় না।

ছিনতাইকারীরা মূলত কম মূল্যে মোবাইল বিক্রি করে তা দিয়ে মাদক কেনে।নগরীতে মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়েই অহরহ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। হাত ঘুরে এসব মোবাইল পরে বিক্রি হয় নিম্ন আয়ের মানুষ ও বস্তিতে বসবাসকারীদের কাছে। ছিনতাইয়ের কারণে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও একই পেশায় জড়িয়ে পড়ছে চক্রের সদস্যরা। কম সময়ে বেশি উপার্জনের আশায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনই চোর,ছিনতাইকারী ও মাদক সেবীদের আশ্রয়স্থল বরিশাল গির্জামহলার ভেনাস মার্কেটের মোবাইল প্লাস মোবাইলের দোকানের প্রোপাইটর’ হাফিজ’। হাফিজ বর্তমানে সবথেকে বেশী চুরির মোবাইলের ‘ফ্লাস সফটওয়্যার ‘প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করে থাকেন।হাফিজ নগরীর ও আন্তঃজেলা চোর চক্রের সাথে জড়িত বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মূল ছিনতাই,চুরির পেশাদার অপরাধীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হাফিজের মোবাইলের দোকানটি। সূত্র জানায়, হাফিজের নেতৃত্বে চলে শহরে ও বাইরে প্রায় ১০ টির বেশী মোবাইল চোর চক্র। যারা মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সরাসরি লককরা মোবাইল গুলো পাঠিয়ে দেয় তার কাছে। হাফিজ নিজের দোকান ছাড়াও বাইরের গোপন একাধিক দোকানে মেশিন রেখে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে চোরদের কাজ হালাল করে দেয়। এছাড়াও হাফিজের বাসায়ও মেশিন রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

মোবাইল টেকনিশিয়ান ইউনুস বলেন ‘ টোকাইরা, ছিনতাইকারী, মলম পার্টিসহ চোরদের মোবাইলগুলো আনলক করে ফরমেট করে এসব টেকনিশিয়ানরা। আবার সেই সেট আইএমই কোড বদল করে গ্রাহকদের দিয়ে ছিনতাইকারীদের কাজ হালাল করে হাফিজদের মত টেকনিশিয়ান রা।ফলে পুলিশ মিসগাইড হয়ে সর্বশেষ গ্রাহকদের চোর বলে ধরে নেন। এদিকে হাফিজরা ৫০০ টাকা থেকে আইফোনের লক খোলা পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকাও নেয়’
উজিরপুরের মা টেলিকম এর সত্ত্বাধিকারী আনিচ বলেন ‘ চোরাই সেটের গ্যাং পুলিশ ধরছেনা কেন? হাফিজের ঘটনা কে না জানে? ‘

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফিজকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘ প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ বরিশালে আমিই করি। আর এরকম অবৈধভাবে কাজ অনেকেই করে এই মার্কেটে। ‘

মার্কেটের মোবাইল টেকনিশিয়ান সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন ‘ চোরাই ফোনের বিষয়টি শুনেছি। ঠিক কারা করে জানিনা’

এই চোর চক্র ও জড়িত টেকনিশিয়ানদের গ্রেফতারের দাবী ভুক্তভোগীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150