বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১লা মে, আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষেরঅধিকার আদায়ের দিন নওগাঁ প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে কৃষকের মৃত্যু নওগাঁ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান চন্দ্র রায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন নওগাঁ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত নওগাঁর ধামইরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহার আলীর গণজোয়ার বিজয়ের পথে জনপ্রিয় সোহেল রানা ও অনজুয়ারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিশ্ব আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  দুপচাঁচিয়ায় গৃহ নির্মাণ শ্রমিক পরিষদের মহান মে দিবস উদযাপন নলডাঙ্গা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালাইয়ে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত কালাইয়ে ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত দুপচাঁচিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থী ভোটের মাঠে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাক অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত২ আহত২ মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মধুপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন স্বামী- কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্ত্রীর মামলা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি জয়পুরহাট ইউনিটের এপ্রিল মাসের মাসিক আড্ডা অনুষ্ঠিত কালাইয়ের ওমর স্কুলে এপ্রিল মাসের শিক্ষক-স্টাফদের জন্মদিন পালন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন আনন্দে কৃষক  দুপচাঁচিয়ায় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

রোজার ঈদের আগে সরকারের অনুরোধ শুনলে এই পরিস্থিতি হতো না

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ১৯৬ বার পঠিত

গত রমযানের ঈদে সবাইকে স্থান ত্যাগ না করার অনুরোধ করলেও তা অনেকে শোনেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় সরকারের কথা শুনলে করোনা পরিস্থিতি এমনটা হতো না বলে তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল শনিবার একাদশ অধিবেশনের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় এবং স্বাস্থ্য সেবার জন্য আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। একটা সমস্যা হচ্ছে যে জনগণকে গত ঈদুল ফিতরে বারবার অনুরোধ করলাম, আপনারা আপনাদের জায়গা ছেড়ে যাবেন না। কিন্তু অনেকেই তো সে কথা শোনেননি। সকলেই ছুটে চলে গেছেন। আর তার ফলাফল কী হলো? আর যারা বাইরে ছিল পুরো বর্ডার এলাকায় এবং বিভিন্ন জেলায় এই করোনাটা ছড়িয়ে পড়লো। সকলে যদি আমাদের কথা শুনতো তাহলে আজকে করোনা এভাবে ছড়িয়ে পড়তো না। এইটা হলো বাস্তবতা। মানুষের বাড়ি যেতে চাওয়ার প্রবণতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সংক্রমণ এড়াতে মহামারিকালে সবাইকে এক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনুরোধ করি তারপরও মানুষ আসলে যেতে চায়, এটা সমস্যা।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু সরকার নয় আমাদের পার্টির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমেও আমরা বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা মানুষকে করে যাচ্ছি। আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা আর্থিক খাতে সহযোগিতা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, এমন কোনও শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই যাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি। যেহেতু আবার করোনা দেখা দিয়েছে আমাদের সাধ্যমত আবারও আমরা সেই সহযোগিতা দেবো। কারো খাদ্য ঘাটতিতে যাতে অসুবিধা না হয় অবশ্যই সে বিষয়টা আমরা দেখবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো মেনে চললে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আমরা এখন লকডাউন ঘোষণা করেছি। আমি দেশবাসীকে বলবো, আপনারা অন্ততপক্ষে নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন, অন্যকে সুরক্ষিত রাখেন। অন্তত এটা ছাড়াতে দিয়েন না। মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার করা আর যেন কোনওমতেই যেন সংক্রমিত না হয়, তার জন্য দূরত্ব বজায় রাখা। এটা করতে পারলেই কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে যায়, তারাই কিন্তু তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তবে যাদের ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে না, ইদানিং সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তারা। পড়ানোর মতো ছেলে-মেয়ে নাই, তারাই বেশি কথা বলে। কিন্তু যারা যায়, তারা তো চাচ্ছেন না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের বক্তৃতার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী কোন টিকা কোন বয়সে দিতে হয়, সেটা অনুসরণ করতে হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যে আমরা শিশুদের টিকাদান শুরু করেছি। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। কিন্তু সেই লেখাপড়ার জন্য তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি-না, তা আমাদের মাননীয় সংসদ উপনেতা একটু বিবেচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ। কিন্তু পড়ালেখা যাতে বন্ধ না হয়, এজন্য সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস চালানো হচ্ছে। এছাড়া আমরা রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছি। রেডিওর মাধ্যমে যাচ্ছে, অনলাইনে যাচ্ছে। যে যেভাবে সুযোগ পারছেন, পড়ালেখা করছেন। আমরা পড়াশোনা চালিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা বলব, একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দিয়ে আমরা কিন্তু সব স্কুল খুলে দেব। কিন্তু আমরা যখন ঠিক সিদ্ধান্ত নিলাম খুলব, তখনই করোনা এমনভাবে মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল; তার ধাক্কাটা আসলো আমাদের দেশে।
বিরোধীদলীয় উপনেতাকে উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান বলেন, বলার জন্য বলবেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই ছেলে-মেয়েগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন কি? আমাদের অনেক পরিচিতজন বিদেশে পড়ালেখা করে। আমার নাতিরা পড়ালেখা করে। সেখানে অনলাইনে পড়ালেখা চলে। কিছুদিন স্কুল খুলল, আবার যখন মহামারি ছড়িয়ে পড়ল তখন আবার বন্ধ। এটা শুধু বাংলাদেশ না। এটা সারাবিশ্ব একই অবস্থা। এটা সবাইকে মানতে হবে।
শিক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনায় এমন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই, যাদের সাহায্য দেয়া হয়নি। যেহেতু আবার করোনা দেখা দিয়েছে, আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করব। কারও খাদ্য ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150