আমরা আসলে অত্যন্ত ভাগ্যবান কারণ বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ও করোনায় মৃত্যুরসংখ্যা এখন পর্যন্ত অনেক কম। আমরা প্রত্যেকটি মৃত্যুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তারপরেও এতো সফলতার একটিই কারণ সেটি হচ্ছে আল্লাহর অশেষ রহমত ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। সঠিক নেতৃত্ব থাকলে দেশে যতো বড়াই বিপর্যয় আসুক না কেন সেটা মোকাবিলা করা সম্ভব। শেখ হাসিনার মতো সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে হয়তো আমরা এতো সুন্দর করে বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা করতে পারতাম না। আসলে অনেক কঠিন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আমরা তারপরেও এই সময়ের মধ্যে একটা মানুষ আছে যার উপর আমরা সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারি। তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৩৬তম পর্বে মঙ্গলবার (১১ মে) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অ্যারোমা দত্ত বলেন, শেখ হাসিনার মতো সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে হয়তো আমরা এতো সুন্দর করে বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা করতে পারতাম না। আসলে অনেক কঠিন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা তারপরেও এই সময়ের মধ্যে একটা মানুষ আছে যার উপর আমরা সম্পূর্ণ আস্থা রাখতা পারি, ভরসা রাখতে পারি। কার উপর ভরসা রাখতে পারি, তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি পৃথিবীবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে কতোটা মানবিক তিনি। আমার মনে হয় এইরকম দৃষ্টান্ত আরও কেউ করে দেখিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই। উনার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলও তার দেশের মানুষ। মানুষ মানুষের জন্য এটার বড় উদাহরণ হচ্ছে তিনি নিজেই। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ তার কাছে সমান। এবং প্রত্যেকটি মানুষের দায় দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। এটিই বড় দেশ প্রেম। বাংলাদেশে মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নিদের্শনায় বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই করোনাকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। লকডাউনের সময় লাখ লাখ পরিবারের প্রত্যেককে ২৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু তিনি সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে; যা মোটেও সোজা কাজ না। এসব একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সম্ভব হচ্ছে। সাড়া বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে আছে সেখানে আসেহ পাশে কি এমন কোন দৃষ্টান্ত আছে যে, সে দেশের হতো দরিদ্র মানুষের জন্য কোন ভাবনা কি আছে? না ভাবতে পারিনি তারা। কারণ সে জায়গাটার প্রতি দায় দায়িত্ব, সে মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সেই মানুষ গুলোকে সব কিছুর উরদ্ধে গিয়ে তাদের জন্য কিছু করা, এবং সে জায়গাটায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একেবারে পরিষ্কার করে এটা বাস্তবায়ন করে জাচ্ছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..