রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
বাঙালির ঐতিহ্য লালন করতে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তরণী হাটে ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে ইছামতী নদীর দুই তীরে মানুষের ঢল নামে। কয়েক দিন আগে থেকে প্রচার প্রচারণা চালানোর কারণে গ্রামের মানুষ ছাড়াও শহর থেকে অসংখ্য মানুষ ভীড় জমায় ইছামতির তীরে।
এ উপলক্ষে আশেপাশের ১৫টি গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। ইছামতী নদীর দুই তীরে বসে মেলা। মেলায় সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের দই, মিষ্টি, খেলনা বেচাকেনা চলে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন শাখা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি নৌকা বাইচের আয়োজন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইছামতি নদীতে যুগ যুগ ধরে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলে আসছে। প্রতি বছর বন্যার পানি কমতে শুরু করলে সেপ্টেম্বর মাসে সুবিধাজনক তারিখে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রতিযোগিতায় ১৪টি দল অংশ গ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা শুরু হয় বিকাল ৪টায়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক জোবাইদা আহসান, গাবতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী, বগুড়া জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি হিরো, তরণীহাট ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মুনছুর কাওছার সবুজ এবং বালিয়াদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী ফকির।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সততা নৌকার দলনেতাকে পুরস্কার হিসেবে একটি ষাঁড় গরু ও নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। রানার আপ দল আল্লাহ ভরসা নৌকার দলনেতাকে পুরস্কার হিসেবে একটি বকনা গরু ও নগদ ৭ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও ৩য় ও ৪র্থ স্থান অধিকারী দলদের ছাগল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণকালে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বাঙালির ঐতিহ্যকে লালন করতে এই নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে। সবাইকে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য লালন করে আগামীর বাংলাদেশ গড়ায় অংশ নিতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। বগুড়ার মানুষ ইতিহাসকে লালন করে। এখানে রয়েছে ৩ হাজারের বেশি বছরের ইতিহাস। তাই সকল বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে।
