রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উদযাপিত বিজয় মাহমুদের ফ্রী কোরআন শিক্ষার আসরের ১০ বছর মাগুরায় আফজাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন নওগাঁহ সারাদেশে রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ঘোষণা নওগাঁ নিখোঁজের ১দিন পরে আমবাগান থেকে দিনমজুরের আলেফ উদ্দিনে মৃতদেহ উদ্ধার নওগাঁ হেরোইনসহ ৪ মাদক কারবারী আটক ধামইরহাটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী পরিবারের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন গাইবান্ধা পলাশবাড়ী থানা পুলিশের অভিযানে ১ কেজি গাঁজাসহ মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে ১ মাদক কারবারি গ্রেফতার সাংবাদিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র খলিলুর রহমান আর নেই নওগাঁহ সারাদেশে রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ঘোষণা নওগাঁয় পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন নওগাঁর উত্তর কষ্টগাড়ী থেকে চোলাই মদসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫ শোক সংবাদ নওগাঁয় ৫০ শতাংশের ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ নওগাঁ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রাস্তার পাশে বৃদ্ধ মা অতঃপর খোঁজ রাখে না ছেলে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দ্বিতীয় ব্যাচে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত  নওগাঁ মান্দায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই মাদক সেবীর কারাদন্ড দিয়েছে আদালত দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী নওগাঁয় বজ্রপাতে বাবুল হোসেন নামে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

নওগাঁর সদর উপজেলার ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ১ হাজার একশত টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১২ বার পঠিত

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ

তুই এর আগে প্রশংসাপত্র নিয়ে গেছিস। সেটার টাকা এখনো দিসনি। স্কুল কোনো মাছের বাজার নয়। টাকাগুলো এক্ষুণি পরিশোধ করতে হবে। খালি হাতে সনদ ও নম্বরপত্র আর দেওয়া যাবে না।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ সদর উপজেলার ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবার মান-সম্মান নেই বলেও কটুক্তি করেছেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ। পরে এ ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মারুফা আক্তার রিনা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.৬১ পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বর্তমানে বগুড়ার একটি সরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মারুফা আক্তার রিনা বলেন, ‘ওইদিন স্কুলে সনদ ও নম্বরপত্র নিতে গেলে স্যাররা রশিদ বহির্ভূত ১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করেন। এই ঘুষের টাকা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার কৃষক বাবার নেই। তাই টাকা ছাড়া আমার সনদ ও নম্বরপত্র দিতে অনুরোধ করেছিলাম। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে আমার বাবা ঘুষের এই টাকা জোগাড় করে পরিশোধ করতেও চেয়েছে। এক পর্যায়ে আমার মায়ের সামনে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হারুন।পরে প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হারুন স্যারকে বলেন, ওদের কোনো মান সম্মান নেই। তুমি সার্টিফিটেক দিয়ে দাও।স্কুলটিতে সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায়ের চেষ্টা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুধুমাত্র মারুফার ক্ষেত্রেই হয়নি। এখন পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যত শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের থেকেই এভাবেই জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায় করেন শিক্ষকরা। এক্ষেত্রে প্রশংসাপত্র বাবদ ৬০০ টাকা এবং সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ ৫০০ টাকা ঘুষ নির্ধারণ করেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাস করার পর প্রশংসা, সনদ ও নম্বরপত্র স্কুলে আটকে রাখেন শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এসব নিতে গেলে ঘুষ চাওয়া হয় ১ হাজার ১০০ টাকা। এই টাকা না দিলে শিক্ষকরা হুমকি-ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় অনেক সহজ-সরল অভিভাবককে লাঞ্ছিত করা হয়। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাদের অপমান করেন শিক্ষকেরা মিলে। এ কারণে অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েও নীরবেই থাকতে হয় অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়টিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পাশ করা আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুন আক্তার নিশি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে স্কুলে প্রশংসাপত্র, নম্বরপত্র এবং সনদপত্র নিতে গেলে ১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করা হয়। ওই মুহূর্তে এতো টাকা কাছে না থাকায় ৬০০ টাকা দিয়ে শুধুমাত্র প্রশংসাপত্র পেয়েছি। এই টাকার রশিদ চাইলে দেবে না বলে জানান। এই কারণে আমি এখনো কোনো নম্বরপত্র ও সনদ তুলিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে সামনাসামনি গিয়ে কথা বলতে হবে জানিয়ে কল কেটে দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150